ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আরাফাত সানির মুক্তিতে বাধা নেই

প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৭

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।


সানির আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও এম জুয়েল আহমেদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জামিন শুনানিতে সানির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, উভয়ের মধ্যে আপস-মীমাংসা হয়েছে এই মর্মে আপনি জামিন দিতে পারেন। তখন বিচারক নাসরিনের কাছে জানতে চান, আপনার কোনো আপত্তি আছে কি না?

নাসরিন বলেন, আমার কোনো আপত্তি নেই। পারিবারিকভাবে আমাদের দুজনে আপস-মীমাংসা হয়েছে। সে আমাকে নিয়ে সংসার করবে।

বিচারক বলেন, সে তো আপনাকে নিয়ে সংসার করবে না। নাসরিন বলেন, সে বলেছে সংসার করবে এবং এই মর্মেই আমাদের মীমাংসা হয়েছে।

এর আগে ৯ মার্চ নারী নির্যাতন মামলায় আপসের শর্তে স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানার জিম্মায় সানির জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। আর যৌতুকের মামলায় ৫ এপ্রিল সমনের জবাব দিতে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।

২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে নাসরিন সুলতানা নামে এক তরুণীর করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেন ওই তরুণী।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রথম মামলা
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আরাফাত সানির সঙ্গে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি এবং ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে ফের আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম।

যৌতুকের দ্বিতীয় মামলা
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে ২৩ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ এপ্রিলের মধ্যে সানিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তৃতীয় মামলা
গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে আরাফাত সানি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তৃতীয় মামলা করেন নাসরিন। আদালত মামলাটি মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মোহাম্মদপুর থানা। ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জেএ/এমআরএম/এমএআর/এমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন