বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায়ের রিভিউ শুনানি রোববার
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বহুতল ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার এ শুনানি সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় ছিল। তবে শুনানিতে সময় প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এরপর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন এই বেঞ্চ। এরও আগে ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ পিটিশন দায়ের করে বিজিএমইএ। পিটিশনে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়।
আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, অবিলম্বে ভাঙতে হবে বহুতল এ অবৈধ ভবন। ভবন ভাঙার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। বিজিএমইএ না ভাঙলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। এজন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হয়েছে। বিজিএমইএর ‘লিভ টু আপিল খারিজের’ পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএর ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেন। বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের ৩৫ পৃষ্ঠার দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ৮ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে জলাধার রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বহুতল এ ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেন। রায়ে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবনটি সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ক্যান্সারের মতো। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে আপিল করে বিজিএমইএ।
এফএইচ/এনএফ/আরআইপি