ইরাদ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে সিএমএম আদালতে হাজিরা করেন তদন্তকারী অফিসার।
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ এদিন ভোর ৫টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে।
কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরাদ জানিয়েছেন, তিনি নেদারল্যান্ডসে থাকেন। বিভিন্ন সময় মেয়র চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী, জামিনদার চৌধুরী, ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী এবং ইরাদবেরি ফিন নামে ফেসবুকে আইডি খুলে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন তিনি।
তার ফেসবুক পোস্টে ভারতবিরোধী বক্তব্য ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য বিদ্যমান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিজেকে ঢাকার ‘শ্যাডো মেয়র’ বলে পরিচয় দেন। তিনি বিএনপি থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীও ছিলেন। ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ডিএমপির একাধিক থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এ মামলা হয়।
জেএ/জেএইচ/পিআর