দুই বন্দির মামলা তিন মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচার শেষ না হওয়া ফৌজদারি পৃথক মামলায় কারাবন্দি দুই বন্দির মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে (নিম্ন) বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আসামিরা হলেন- কাইলা কালাম ও মো. আব্দুল খালেক। তাদের মামলা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
১২ বছর ধরে হত্যা মামলায় আতাইকুলা পুষ্পপাড়ার বাসিন্দা মৃত আরজ আলীর ছেলে কাইলা কালাম (৪২) পাবনা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। আর নাটোরের সিংড়া থানার মুনারপাড়া নমিরুদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল খালেক একটি হত্যা মামলায় ১১ বছর ধরে কারাবন্দি।
২০০৫ সালে সিংড়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ কারাবন্দিকে ১৩৪ বার নাটোর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন কারাগারে ফৌজদারি মামলায় সর্বনিম্ন ১০ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৮ বছর ধরে ১০ কারাবন্দির তথ্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী আনিচ উল মাওয়া।
৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১০ জনের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। কেন এই কারাবন্দিদের জামিন দেয়া হবে না, রুলে কাও জানতে চান হাইকোর্টে। ওই দিন এসব কারাবন্দির মামলার নথি-পত্র তলব করেন। পাশাপাশি কারাবন্দি পাঁচজনকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ও অপর পাঁচ কারাবন্দিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার পাঁচ কারাবন্দির মধ্যে চারজনকে আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
আইনজীবী আনিচ উল মাওয়া সাংবাদিকদের বলেন, হাজির করা চার কারাবন্দির মধ্যে কাইলা কালাম ও মো. আব্দুল খালেকের মামলা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সৈয়দ শেখ ইতোমধ্যে বিচারিক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। আর বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে মো. সুমনের। অপর কারাবন্দি অপূর্ব দাসের বিষয়ে আদালত আগামীকাল বুধবার আদেশ দেবেন।
অপূর্ব বাঘারপাড়া আলাদিপুরের বাসিন্দা কাঙ্গালী দাসের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। অপূর্ব এখন পর্যন্ত ১২৬ বার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম