মামুনের রাজসাক্ষী বাতিলের আবেদন খারিজ
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের রাজসাক্ষী বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে নিম্ন আদালতে মনোনীত করা মামুনের অর্থ পাচারের মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবেই থাকছেন সংশ্লিষ্ট মামলার দুই আসামি।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে এদিন গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাজাহান ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর করা অর্থ পাচার মামলায় শাহজাদ আলী ও তাহমিনা আলী রাজসাক্ষী থাকছেন। তাদের রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালতের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিনের করা আবেদন খারিজ হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওই দুজনকে আসামি করতে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের এ আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। এরপর তারা (শাহজাদ আলী ও তাহমিনা আলী) বিচারিক আদালতে রাজসাক্ষী হওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ আবেদন বাতিল চেয়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন গত সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর ওপর শুনানি শেষে আজ আদালত তা খারিজ করে দেন।
পরে আইনজীবী সাব্বির হামজা সাংবাদিকদের জানান, অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১১ সালে ওই মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৩ এ বিচারাধীন ও সাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে।
এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি/জেআইএম