আরাফাত সানির জামিন আবেদন নামঞ্জুর
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সানির আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সানির জামিন আবেদন করেছিলাম ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনাল তার জামিন আবেদনটি নামঞ্জুর করেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম বলেন, সানির মামলার জামিন শুনানি ছিল। ট্রাইব্যুনাল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামছুল আলমের আদালতে তার আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ এ জামিন আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল জামিন শুনানির আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
২৪ জানুয়ারি একদিনের রিমান্ড শেষে আরাফাত সানিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াহিয়া।
অন্যদিকে তার আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২২ জানুয়ারি আরাফাত সানিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওইদিন সকালে আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। সানির বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা করেন তার স্ত্রী দাবিদার এক তরুণী।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দু’জনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি।
এ ঘটনায় নাসরিন সুলতানা নামে ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রথম মামলা করেন। পরদিন যৌতুক আইনে দ্বিতীয় মামলা করেন। আর ১ ফেব্রুয়ারি যৌতুকের জন্য মারধরের ঘটনায় তৃতীয় মামলাটি করেন নাসরিন।
জেএ/এমআরএম/জেডএ/পিআর