সাত খুন : দ্রুত পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা।
রোববার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্সের নথি নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে হাইকোর্টে আসে। ওই দিন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই নথি প্রেরণ করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন, র্যাবের কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি হাইকোর্টে প্রেরণ করা হয়, যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত। এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এ সাজা অনুমোদনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে ‘ডেথ রেফারেন্স’ শুনানি হবে। সেখানে সাজা বহাল থাকলে তারা আপিল করতে পারবেন। আসামিরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন। যদি কেউ আপিল না করেন তাহলে তার ক্ষেত্রে শুধু ডেথ রেফারেন্সেরই শুনানি হবে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
এরপর ২৮ এপ্রিল নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি একটি মামলা করেন। আর ৮ মে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দ্বিতীয় মামলা করেন।
এফএইচ/এনএফ/এমএস