তিনবার আলহামদুলিল্লাহ বললেন নাসরিন
জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় সানির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত।
এদিন একদিনের রিমান্ড শেষে আরাফাত সানিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদশর্ক ইয়াহিয়া। অপরদিকে সানির আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিচারক ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেয়ার পরপরই তিনবার জোরে জোরে আলহামদুলিল্লাহ বলেন মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা। এ সময় তিনি পশ্চিমদিকে দুই হাত তুলেন। আর জোরে জোরে তিনবার বলতে থাকেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। তিনি বলেন- ‘আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি।’ আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রোববার আরাফাত সানিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার সকালে আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
সানির বিরুদ্ধে মোট দুটি মামলা করেছেন ওই তরুণী। একটি তথ্য-প্রযুক্তি ও অন্যটি যৌতুক আইনে।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে- আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের ব্যক্তিগত ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি।
এ ঘটনায় নাসরিন সুলতানা নামের ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলাটি করেন। পরদিন যৌতুক আইনে অন্য মামলাটি করেন তিনি।
জেএ/জেডএ/আরআইপি