বিজিএমইএ ভবন ভাঙার আপিলের রায় প্রকাশ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ-এর ১৮তলা অবৈধ ভবন ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ পেয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ বলেছেন, রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে এই ভবন ভাঙতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
আইন অনুযায়ী রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি (সার্টিফাইড) হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করতে হয়। অপেক্ষা এখন বিজিএমইএ ভবনের পক্ষে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয় কিনা।
রায়ের অনিুলিপি প্রকাশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, রায়ে বলা হয়, ভবন ভাঙার সকল ব্যয়ভার বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। এছাড়া ওই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফৌজদারি অপরাধের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ভবনের জায়গাসহ রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্প মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল এক রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিজিএমই ভবন ভাঙার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। পরে ২০১১ সালে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৫ এপ্রিল চেম্বার আদালত হাইকোর্টের ওই রায়ের ওপর ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন। এরপর কয়েকবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পরে হাইকোর্ট ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ পেলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ’র সভাপতি ২০১৩ সালের ২১ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দেন। আজ (মঙ্গলবার) আপিল বিভাগের দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হলো।
এফএইচ/আরএস/এবিএস