ট্রাইব্যুনালে লোকবল কমানোর পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল
মানবতাবিরোধী শীর্ষ অপরাধীদের বিচারের পর ট্রাইব্যুনালে জনবল কমানোর পক্ষে মতামত ব্যক্ত করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, ‘ট্রাইব্যুনালে যত লোকবল আছে, তা রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তদন্তের ব্যাপারেও না, প্রসিকিউশনের ব্যাপারেও না।’
সোমবার নিজ কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘ গতকাল ২৩ অক্টোবর (রোববার) আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বলা হয়েছে যদি একজনও যুদ্ধাপরাধী থাকে তার বিচার অব্যাহত থাকবে। সেই বিচার বর্তমান অবস্থায় হবে নাকি জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
এছাড়া পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। যুক্তরাষ্ট্রে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছিলেন।
সেই মন্তব্যের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতি এটা ভালো উদ্দেশ্যেই বলেছেন। কারণ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বের কারণেই এত দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এখন ট্রাইব্যুনাল কীভাবে চলবে সেটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়, যা আইনের দ্বারা বিধিবদ্ধ হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি মনে করে এ বিচার জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাবে, তবে অন্য কথা। এছাড়া সরকার যদি মনে করে হাইকোর্টের বিচারপতিদের এখান থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পর্যায়ের বিচারকদের নিয়োগ করতে পারেন।
গত ১৬ অক্টোবর (রোববার) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশ ল’সোসাইটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল সেই প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। আলাদা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থাকার ফলে আপিল বিভাগে মামলা জটসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এখন ‘সি’ ও ‘ডি’ গ্রেডের ছোট্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল টিকিয়ে রাখার দরকার নেই। জেলা জজ পর্যায়ের বিচারপতিদের মাধ্যমে এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষে মামলাগুলোর আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসলেই হবে।
প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ (সোমবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জনবল কমানোর কথা বললেন।
এফএইচ/আরএস/এবিএস