শিশু জিহাদের মৃত্যু : পরবর্তী সাক্ষ্য ২০ অক্টোবর
রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রেলওয়ের সহকারী জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।এদিন জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিনকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর কলোনির মাঠে খেলতে গিয়ে শিশু জিহাদ ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অরক্ষিত পাইপে পড়ে মারা যান। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পরও ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে সাধারণ লোকজন তাদের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে শিশু জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ফৌজদারি আইনের ৩০৪/ক ধারায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির একটি পানির পাম্পে লোহার পাইপ দিয়ে কূপ খনন করা হয়। দীর্ঘদিন কূপের মুখে কোন প্রকার নিরাপদ ব্যবস্থা না করে অবহেলা ও তাচ্ছিল্লপূর্ণভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। ফলে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাদীর ছেলে জিহাদ কূপের পাশে খেলা করার সময় পাইপে পড়ে মারা যায়।
এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির ফকির ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় এই মামলা করেন।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান রেলওয়ের সহকারি জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, দীপন কুমার ভৌমিক, নাসির উদ্দিন ঠিকাদার, শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অহম্মেদ শাকি।
২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান।
জেএ/এমএমজেড/পিআর