শিশু জিহাদের মৃত্যু : ইঞ্জিনিয়ারসহ ছয় আসামির বিচার শুরু
রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রেলওয়ের সহকারী জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান অভিযোগ গঠন করে সাক্ষীর জন্য ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, দীপন কুমার ভৌমিক, নাসির উদ্দিন ঠিকাদার, শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অহম্মেদ শাকি।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর কলোনির মাঠে খেলতে গিয়ে শিশু জিহাদ ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অরক্ষিত পাইপে পড়ে মারা যান। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পরও ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে সাধারণ লোকজন তাদের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে শিশু জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ফৌজদারি আইনের ৩০৪/ক ধারায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনির একটি পানির পাম্পে লোহার পাইপ দিয়ে কূপ খনন করা হয়। কূপে কোন প্রকার নিরাপদ ব্যবস্থা না করে অবহেলা ও তাচ্ছিল্লপূর্ণভাবে কূপের মুখ খোলা রাখা হয়। এ কারণে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। ফলে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাদীর ছেলে জিহাদ কূপের পাশে খেলা করার সময় পাইপে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির ফকির ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় এই মামলা করেন।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জেএ/এআরএস/এমএস