রিভিউ খারিজের রায়ের কপি কাশিমপুর কারাগারে
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজের রায়ের কপি কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে রিভিউ আবেদনের রায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে লাল কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় রিভিউ আবেদন খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কাগজ কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।
আইন গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফেরদৌসসহ চার সদস্যের একদল কর্মকর্তার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।
এর আগে রাত ৯টা ৯ মিনিটের দিকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পৌঁছে রায়ের কপি। পরে এখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে পাঠানো হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে আইন গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফয়সালসহ চারজন রায়ের কপি নিয়ে কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেন।
সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। পরে বিকেলে পাঁচ বিচারপতির স্বাক্ষরিত ২৯ পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রায় প্রকাশের পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে রায়ের কপি পৌঁছে দেন।
৬৩ বছর বয়সী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন তার সামনে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতদের মধ্যে এর আগে রিভিউ খারিজ হয়েছিল আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মতিউর রহমান নিজামীর। রিভিউ খারিজের পর তাদের সবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আমিনুল ইসলাম/বিএ