ক্ষমা না চাইলে যেকোনো মুহূর্তে ফাঁসি কার্যকর
মীর কাসেম আলী ক্ষমা চেয়ে আবেদন না করলে রাষ্ট্র যে কোনো মুহূর্তে রায় কার্যকর করতে পারবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, রিভিউয়ের রায় প্রকাশের পরই দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মঙ্গলবার মীর কাসেমের দণ্ড কার্যকরের পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হলো- রিভিউ পিটিশনের রায়ের বিষয়ে তাকে অবহিত করা হবে। তিনি যদি মনে করেন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন, সেক্ষেত্রে তার দরখাস্ত রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করা হবে। রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্তের পরই তার দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়াটা চালু হবে।’
তিনি বলেন, রিভিউ আবেদন খারিজের পর জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা না চায় তা হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে। তবে রিভিউ রায় প্রকাশ করার পর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা না চাইলে দণ্ড কাযকর করা যাবে যেকোরো মুহূর্তে।
রাষ্ট্রপতি যদি মীর কাসেমকে ক্ষমা না করেন বা তিনি ক্ষমা না চান সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘উনি ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত প্রক্রিয়া থেমে থাকবে। রাষ্ট্রপতি যদি ক্ষমা করে দেন সেটা আলাদা কথা। আর উনি যদি এটাকে নাকচ করেন সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র যখন চাইবে, তখনই তার দণ্ড কার্যকর করা যাবে। তিনি ক্ষমা না চাইলে যে কোনো মুহূর্তে রাষ্ট্র তার এই দণ্ড কার্যকরের পদক্ষেপ নিতে পারে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তির পর রায় কার্যকর পর্যন্ত এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগে না। মীর কাসেমের রায় কবে নাগাদ প্রকাশ হতে পারে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমাদের বর্তমান প্রধান বিচারপতি রায় দেওয়ার সাথে সাথে এটার কপি যাতে পাওয়া যায় সে মর্মে নিজেরাও রায় দিচ্ছেন এবং অফিসকেও সেভাবে আদেশ দিয়েছেন। কাজেই আমরা আশা করছি অতি শিগগিরই এই রায়ের... ইতোমধ্যে হয়তো ওয়েবসাইট দেখলে দেখা যাবে হয়তো ওয়েবসাইটে চলে আসছে।’
মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে তাকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খালাস চেয়ে মীর কাসেম আলী আপিল করেন। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।
এফএইচ/এনএফ/এমএস