ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

যৌন হয়রানি : আহসানউল্লাহর শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৬

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, নগ্ন সেলফি প্রকাশ, ধর্ষণ চেষ্টা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) শিক্ষক মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ।

চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের নারীসহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক আফরোজা আইরীন কলি। যৌন হয়রানির শিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীসহ মোট ২৮ জনকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রমাণিত হয় শিক্ষক ফেরদৌস আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি ও প্রশ্নপত্র এবং ভাইভায় নম্বর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

এক ছাত্রীর সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজ বাসস্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯ এর ৪ (খ) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি ওয়েবসাইট ও মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ২০০৬ এর ৫৭ ধারা এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১২ এর ৮ ধারা অপরাধ প্রমাণিত হয়।

এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ায় পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ১৯৮০ এর ৯ (খ) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

চার্জশিট গত ১৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুর রহমানের আদালতে দাখিল করা হলেও আজ (মঙ্গলবার) তা জানা যায়।

২০১৬ সালের ৪ মে রাতে কলাবাগান থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদদৌল্লাহ আল সায়েম। ওই দিনই কলাবাগানের বাসা থেকে শিক্ষক ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিনি এ মামলায় যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জেএ/এসএইচএস/এবিএস

আরও পড়ুন