ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

খালেদাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৮ এএম, ২৫ মে ২০১৬

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা চলবে- এই মর্মে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ পেয়েছে। রায় প্রকাশের ফলে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

মামলায় বিচারিক আদালতে বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মামলায় আগামী ১২ জুন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ-২ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. জাফর উল্লাহ শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহম্মদ নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি খারিজ করে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছিলেন।

জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলা বাতিলের জন্য খালেদার রিট আবেদনে সাত বছর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই সময় জারি করা রুল খারিজ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ১৭ সেপ্টেম্বর রায় দেন।

সাত বছর পর ২০১৫ সালের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাইকোর্টের দেয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে একই বছরের ৩০ আগস্ট আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

এর আগে মামলায় ১১ কার্যদিবস রুলের ওপর শুনানি হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার রগীব রউফ চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

গত ৩০ আগস্ট খালেদার আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়) কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক তির জন্য খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।

একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।

পরে একই বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সাথে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এফএইচ/আরএস/এবিএস

আরও পড়ুন