শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকদের প্রত্যাশা
শিক্ষক হলেন জাতি গঠনের কারিগর। শিক্ষক অত্যন্ত যত্নসহকারে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করেন। ধাপে ধাপে শীর্ষে ওঠার পথকে মসৃণ করেন। শিক্ষকরাই জীবনের আলোকবর্তিকা ও পথপ্রদর্শক। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তিতুমীর কলেজেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। সেখানে শিক্ষকরা তাদের প্রত্যাশা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মো. জুবায়ের ইসলাম-
ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শামীমা নাসরিন নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষক দিবস নিয়ে আমার দুটি প্রত্যাশা। প্রথমত, আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের পড়ায় সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের ব্যক্তিত্ব ও নৈতিক মূল্যবোধকে বিকশিত করতে সক্ষম হোক। দ্বিতীয়ত, আমি আশা করি, তারা নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করবে এবং সব সময় সৎ ও ন্যায়ের পথে চলবে। সর্বোপরি তাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা আমার একমাত্র কাম্য।’
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সরোয়ার মোর্শেদ খান বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো শিক্ষক। যুগ যুগ ধরে শিক্ষককে জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে দেখা হয়েছে। তবে সম্প্রতি শিক্ষকদের যে সম্মানহানি হয়েছে, তা কষ্টদায়ক। আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো কিছু করাই আমাদের প্রাপ্তি। আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হয়ে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে।’
- আরও পড়ুন
- নিয়োগ দেবে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- অফিসার পদে নিয়োগ দেবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌসী সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর। তাদের হাত ধরেই জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বমঞ্চে নতুন পরিচয়ে নিজেদের তুলে ধরবে। শিক্ষক দিবসে এই উদযাপনের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রতি সম্মান আরও বৃদ্ধি পাবে।’
গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘একজন শিক্ষক জাতি গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন। যখন তার অনুসারী শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে সঠিক দিকনির্দেশনা পায়। শিক্ষক হতে হবে শুদ্ধাচারী, সৎ এবং জ্ঞানপিপাসু। সেই সঙ্গে জ্ঞানের এই পিপাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারার যোগ্যতাও থাকতে হবে। অবশ্যই তার একটি সহানুভূতিশীল মন এবং সৃজনশীল মানসিকতা থাকতে হবে। তিনি নিজে সঠিক পথে চলবেন এবং অনুসারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করবেন। তার আচরণগত সৌন্দর্য বা মাধুর্য যেন শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করে। তাদের আস্থাভাজন হয়, সে বিষয়েও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।’
ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সালেকা মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক খোলামেলা হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পরিবার এবং শিক্ষকরাই তাদের গাইড। পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থাকলে আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
এসইউ/এএসএম