নববর্ষ ও চিকিৎসা ভাতা চাই
২০১৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ ও পেনশনভোগীদের বিভিন্ন প্রকার ভাতা পুনর্নির্ধারণ করা হলেও শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের প্রতি যে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে, তা আমাদের হতবাক করেছে। কর্মক্ষম জীবনের সঞ্চয় হিসেবে এককালীন পেনশন ভাতা চাকরিজীবীদের জীবনের বড় প্রাপ্তি, বিশেষ করে নিচের পদে চাকুরেদের জীবনের একমাত্র সম্বল।
যাদের টাকার খুব প্রয়োজন থাকে, তারাই শতভাগ পেনশন সমর্পণ করেন। এরপর তারা শুধু নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারি চাকুরেরা যখন বর্ধিত বেতন-ভাতার বকেয়া উত্তোলন করছেন, তখন আমাদের মতো পেনশন সমর্পণকারীদের বঞ্চিত করা সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ।
আরও একটি বিষয় আমাদের বেশি হতাশ করেছে, সেটি হলো সম্প্রতি চালু হওয়া নববর্ষ ভাতা থেকেও সমর্পণকারীদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আমাদের চাকরিজীবনে নববর্ষ ভাতার প্রচলন ছিল না। বর্তমানে বেতন-ভাতা বর্ধিতকরণ ও নববর্ষ ভাতা চালুকরণ নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বঞ্চিত রাখার বিষয়টি দুঃখজনক।
আমাদের দাবি হলো, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা হোক। একই সঙ্গে নববর্ষ ভাতা দেয়া হোক। জীবনের শেষ বেলায় আমরা কি এই দাবিটা করতে পারি না?
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, হবিগঞ্জ।
এসইউ/পিআর