৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল এ মাসেই
বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অনেকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পান না। ফল প্রকাশের পর ক্যাডাররা খুশিতে আত্মহারা হন। অথচ পরীক্ষায় ভালো করা সত্ত্বেও শূন্যপদ না থাকায় নন-ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকতে হয় অনেককে। এতে হতাশায় ভোগেন তারা।
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি ডিসেম্বর মাসেই এই বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ২১ নভেম্বর। এই বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের পদে পছন্দক্রম নেওয়া হবে। সব কাজ শেষ করে চলতি মাসেই এই বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ু>> ৪১তম বিসিএস/ নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ৩১৬৪ জন
পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ৪৩তম বিসিএস নিয়ে কয়েকটি সভা হয়েছে। সেখানে আলোচনায় উঠে এসেছে, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একসঙ্গে ফল প্রকাশ করা হবে। ক্যাডার পদে সুপারিশের পর নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে অনেক সময় লেগে যায়। অথচ একই বিসিএস দিয়ে আরেকজন অনেক আগেই চাকরিতে যোগদান করে ফেলেন। নন-ক্যাডারে যারা নিয়োগ পান, তাদের কর্মজীবন দেরিতে শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘এটা তো স্পষ্টই বৈষম্য। এ কারণে একসঙ্গে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হবে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের নিয়োগ সুপারিশ করা হতে পারে।’
আরও পড়ু>> ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ সংখ্যা ৩১৪০
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এএএইচ/বিএ