ইন্টারভিউয়ের যতো প্রক্রিয়া : শেষ পর্ব
সবারই একটা কৌতুহল থাকে যে, কী হয় ইন্টারভিউ রুমে? অনেকের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আবার অনেকের হয়তো এবারই প্রথম। তাই প্রক্রিয়াগুলো জেনে রাখা ভালো। আমারও দেশীয় বেসরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে কিছু ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। আসুন জেনে নেই কী সেই প্রক্রিয়া?
৫. আপনি ইংরেজিতে দুর্বল হলে রিক্রুইটারের কাছে বাংলায় কথা বলার অনুমতি চেয়ে নিন। এতে রিক্রুইটার শুধু বুঝবে যে আপনার ইংরেজি দুর্বল। কিন্তু এটা না করে আপনি যদি ভুল ইংরেজি, আধো আধো ভাবে বলতে চান, তাহলে আপনার আরো অনেক দিকই আপনি তুলে ধরতে পারবেন না। আরো বেশি অপমান হবার সুযোগ থাকবে।
৬. ইন্টারভিউ বোর্ডে অনেকে বসা থাকেন। যে প্রশ্ন করবে, তার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিন, নিচে অথবা এদিক-সেদিক তাকাবেন না।
৭. ফোন সাইলেন্ট রাখবেন, ইন্টারভিউ চলাকালীন ভাইব্রেশনও থাকা চলবে না।
৮. ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে মিথ্যা বলবেন না। তারা বুঝতে পারে।
৯. যে কোম্পানিতে আবেদন করেছেন ওই কোম্পানি সম্পর্কে জেনে যাবেন। ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট কি, সার্ভিস কি- না জেনে যাবেন না।
১০. যে পদের জন্য আবেদন করেছেন ওই পদের কর্ম বর্ণনা ভালোভাবে পড়ে যাবেন। ‘আমি স্যার সব পারবো’- এরকম কথা বললে চাকরি হবে না।
১১. রিক্রুইটারের সাথে তর্ক করবেন না। আপনার চাকরি এখনো হয়নি। এটা মনে রাখবেন। সহনশীল, ভদ্র, নমনীয় আচরণ করবেন।
১২. আপনি চাকরি পাচ্ছেন না, তাই মানসিকভাবে একটু দুর্বল, কিন্তু কিছুতেই সেটা রিক্রুইটারকে বুঝতে দিবেন না। সদা আত্মবিশ্বাসী ও উদ্যমী ভাবে নিজেকে তুলে ধরুন।
১৩. উদ্ধত ও দাম্ভিক আচরণ করবেন না। চাকরি না হোক, সুসম্পর্ক বজায় রাখুন সবার সাথে।
১৪. আপনি মানসিক চাপ নিতে পারেন কিনা তার জন্য অনেক সময় আপনাকে রিক্রুইটার ভারি গলায় কথা বলতে পারেন। মাথা ঠান্ডা রাখুন। আপনার টেস্ট হচ্ছে। এটাকে বলে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স টেস্ট। এখানে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
১৫. ইন্টারভিউ দিতে ঢোকার আগে সিগারেট খাবেন না।
১৬. কাজকে ফোকাস করে আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করুন।
এভাবে আপনি ইন্টারভিউ বোর্ড পর্যন্ত আসবেন। তারপর নিজেকে সকলের সামনে তুলে ধরুন কর্মদক্ষ, পরিশ্রমী, উদ্যমী হিসেবে। আপনার কথা শুনে, কাজ দেখে রিক্রুইটার যেন বলতে বাধ্য হয়, ‘আপনকেই তো খুঁজছিলাম’।
লেখক: ট্রেইনার ও প্রফেশনাল সিভি রাইটার, চিফ নলেজ ডিস্ট্রিবিউটর, কর্পোরেট আস্ক বাংলাদেশ।
এসইউ/আরআইপি