ইন্টারভিউয়ের যতো প্রক্রিয়া : ২য় পর্ব
সবারই একটা কৌতুহল থাকে যে, কী হয় ইন্টারভিউ রুমে? অনেকের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আবার অনেকের হয়তো এবারই প্রথম। তাই প্রক্রিয়াগুলো জেনে রাখা ভালো। আমারও দেশীয় বেসরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে কিছু ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। আসুন জেনে নেই কী সেই প্রক্রিয়া?
৮. মূল্যবোধের পরীক্ষা, ভালো ও মন্দের পার্থক্য আপনি কীভাবে করেন এবার হবে সেই পরীক্ষা। বিভিন্ন অবস্থায় আপনি কী সিদ্ধান্ত নিতেন জানতে চাওয়া হবে। আপনি উত্তর করলেই বেরিয়ে আসবে আপনার মূল্যবোধ কী ধরনের।
৯. আপনার পূর্ববর্তী চাকরির রেকর্ড ও কাজের ধরন চেক করা হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন করা হয় অথবা ডকুমেন্ট টেস্ট করা হয়। পে স্লিপ, অব্যাহতিপত্র, অর্থসংক্রান্ত নিষ্পত্তিনামা চেক করা হতে পারে। সার্টিফিকেটের মেইন কপি কাউকে দিবেন না। এটা বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী অবৈধ।
১০. আপনার রেফারেন্স চেক হতে পারে। তাই সিভিতে যাদের রেফারেন্স রেখেছেন, তারা যেন আপনার সম্পর্কে সত্য তথ্য দেন সেই ব্যাপারে তাদের জানিয়ে রাখুন। আত্মীয় স্বজনদের রেফারেন্স রাখবেন না। আপনার শিক্ষক ও কর্মক্ষেত্রে বস অথবা সহকর্মীদের রেফারেন্স রাখতে পারেন।
আমরা ইন্টারভিউ ব্যাপারটাকে খুব হাল্কাভাবে দেখি। তাই আপনাদের জন্য ইন্টারভিউয়ের কিছু টিপস-
১. ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় পোশাকের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ছেলেরা চুল এলোমেলো রাখবেন না, শেভ করে যাবেন। কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। কানে দুল, ব্রেসলেট ছেলেদের পোশাক নয়। নারীরাও মার্জিত পোশাকে যাবেন। কড়া ঘ্রাণের বডি স্প্রে বা সেন্ট ব্যবহার করবেন না। অনেক সময় ছাত্রদের মত পোশাক পরেই ইন্টারভিউ দিতে চলে যান। মনে রাখবেন ছাত্রজীবন কিন্তু শেষ।
২. ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় অবশ্যই সিভি, কভার লেটারের একটি কপি প্রিন্ট করে নিয়ে যাবেন।
৩. কলম না নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া শুধু ভুলই নয়, অপরাধও বটে। দেরি করে যাওয়া আরেকটি বড় অপরাধ।
৪. রিক্রুইটার বাংলায় প্রশ্ন করলে বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে ইংরেজিতে উত্তর দিবেন না। এটা বেয়াদবি এবং ওভার স্মার্টনেস।
চলবে-
এসইউ/পিআর