ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

আমার নেশা-পেশা শুধুই ফটোগ্রাফি: আক্তার হামিদ খান

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৩

আক্তার হামিদ খান ফটোগ্রাফার। তিনি আলো এবং ছায়াকে পুঁজি করে তৈরি করেন বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক ইমেজ। যাকে আমরা সংক্ষেপে বলতে পারি ‘ফটোগ্রাফি’। একই সঙ্গে তিনি একজন ফটো সাংবাদিক। এখন তিনি আমেরিকা থেকে প্রচারিত ‘রেডিও ত্রিতাল বাংলা ইউএসে’ কাজ করছেন। জাগো নিউজের আয়োজনে তার কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন আদিত্য রহমানের সঙ্গে—

জাগো নিউজ: প্রথমেই আপনার কাছে জানতে চাই ফটোগ্রাফি আসলে কী?
আক্তার হামিদ খান: আমি মনে করি, ফটোগ্রাফি মানে হচ্ছে লাইট অ্যান্ড শ্যাডোকে কাজে লাগিয়ে ইমেজ তৈরি করা। আগে সেই ইমেজটা ক্রিয়েট হতো কেমিক্যালের ওপর। এখন সেটি হয় ইলেক্ট্রিক্যালি, ডিজিটালি, ইমেজ সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে। ফটোগ্রাফি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘ফোজ’ এবং ‘গ্রাফোস’ থেকে। গ্রিক ভাষায় যার অর্থ—আলো দিয়ে ছবি আঁকা।

জাগো নিউজ: আপনার ফটোগ্রাফির বিশেষত্ব কী?
আক্তার হামিদ খান: আমি সাধারাণত ফটোগ্রাফির মাধ্যমে জীবন এবং প্রকৃতিকে ধরার চেষ্টা করি। লাইফ অ্যান্ড ন্যাচার। আমার ছবিতে মানুষ, প্রাণী বা জীবন না থাকলে আমার ভালো লাগে না। প্রকৃতিও আমাকে খুব টানে।

আরও পড়ুন: বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই বিসিএস ক্যাডার মুন্নী 

জাগো নিউজ: এটা কি আপনার পেশা নাকি শখ?
আক্তার হামিদ খান: আগে এটা আমার শখ ছিল, নেশা ছিল। যত দিন যাচ্ছে; ততই আমার পেশা হয়ে উঠছে। বলতে পারেন, নেশা থেকে পেশা। আমার পেশা আগে অন্য কিছু হলেও এখন আমার পেশা এবং নেশা শুধুই ফটোগ্রাফি।

jagonews24

জাগো নিউজ: আপনি কেন ফটোগ্রাফি বেছে নিলেন?
আক্তার হামিদ খান: ফটোগ্রাফি আমার শখ। কারণ আমি দেখেছি, একমাত্র ফটোগ্রাফিই মানুষকে একসঙ্গে অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়। একটি ফটোগ্রাফ একজন মানুষকে একই সঙ্গে মানুষের কথা মনে করিয়ে দেয়, স্থানের কথা মনে করিয়ে দেয়, সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, কিছু অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়। তাই আমি মনে করি, অনেক কথা বলার চেয়ে একটি ফটোগ্রাফ অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি ছবি অনেক কিছু বলে দিতে পারে। একটি ছবি অনেক মানুষকে আন্দোলিত করতে পারে। একটি ছবি অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারে।

জাগো নিউজ: ফটোগ্রাফির জন্য কী কী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
আক্তার হামিদ খান: তিনটি জিনিস ফটোগ্রাফির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত লাইট। লাইট ছাড়া ফটোগ্রাফি হবে না। দ্বিতীয়ত সাবজেক্ট। যে কোনো ফটোগ্রাফির জন্য আগে সাবজেক্ট দরকার। তৃতীয়ত দরকার কম্পোজিশন। কম্পোজিশন ছাড়া ফটোগ্রাফি হয় না। কম্পোজিশন ছাড়া সেটি সাধারণ ছবি থেকে যায়। ছবি এবং ফটোগ্রাফের মধ্যে পার্থক্য হলো কম্পোজিশন। জোসেফ নিসাফোর নিয়েপস ছিলেন পৃথিবীর প্রথম ফটোগ্রাফার। তিনি ছিলেন একজন ফ্র্যাঞ্চ সায়েন্টিস্ট। ১৮২৬ সালে তিনি জানালা দিয়ে বাইরের ছবি তোলেন, সেটাই ছিল পৃথিবীর প্রথম ছবি। তখন থেকেই ডকুমেন্টেশনের নতুন অধ্যায় উন্মুক্ত হয়। তখন ফটোগ্রাফিকে বলা হতো ‘heliography’। ১৯৫৭ সালে সেটি ডিজিটাল হয়।

আরও পড়ুন: যেভাবে শিক্ষা ক্যাডার হলেন হামিদুল্লাহ 

জাগো নিউজ: কোন ধরনের ছবি আপনার প্রিয়?
আক্তার হামিদ খান: ছবির মধ্যে যে কোনো একটি লেয়ার ডিফোকাসড হলে আমার খুব ভালো লাগে।

jagonews24

জাগো নিউজ: ফটো সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে আপনার ছবির প্রদর্শনী হয়েছে, সম্মাননা পেয়েছেন—কেমন লাগে?
আক্তার হামিদ খান: আমার প্রদর্শনী খুব বড়ভাবে যে হয়েছে; সেটি আমি মনে করি না। তবে আমার পুরস্কারের সংখ্যা কম নয়। কিছুদিন আগে আমেরিকায় আমার একটি প্রদর্শনী হয়; সেটি আমার খুব ভালো লেগেছিল। আমি মূলত এখন প্রিন্টের চেয়ে ওয়েব ভার্সনে বেশি কাজ করি। ‘রেডিও ত্রিতাল বাংলা ইউএস’র হয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন। তাদের ওয়েব নিউজের জন্য আমি বেশি কাজ করেছি। আমি মনে করি, সাংবাদিকতার জন্য অনেক লেখার চেয়ে একটি ছবিই অনেক সময় যথেষ্ট।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আক্তার হামিদ খান: আমার আগামী দিনের পরিকল্পনা একটি ফটোগ্রাফি ইনস্টিটিউট করা। যেখানে অনেক তরুণ তাদের স্বপ্নের মতো কাজ করতে পারবেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পছন্দের সাবজেক্টগুলো তুলে আনতে পারবেন। আমার আরেকটি স্বপ্ন হলো, নতুন ফটোগ্রাফারদের কাজগুলোকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা।

এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন