সিনিয়র ও জুনিয়রদের বেতন বৈষম্য
ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার চলতি অর্থবছরে ৩০ জুন পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট দিতে যাচ্ছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩০ জুন পর্যন্ত সবাই পাবেন ইনক্রিমেন্ট’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এটি খুশির খবর। কিন্তু সরকার ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত একটি ইনক্রিমেন্ট দিলেও বৈষম্য থেকেই যাবে। ২০০৩ সালের জুনে যে কর্মচারী চাকরিতে যোগদান করে ২০১৫ সালের জুন মাসে দ্বিতীয় টাইম স্কেল পেয়ে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের ১২ নম্বর গ্রেডে, তার বেতন দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা। অন্যদিকে ২০০১ সালের এপ্রিলে একই পদে যোগদান করে একজন সিনিয়র কর্মচারী ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় টাইম স্কেল পেয়ে অষ্টম বেতন স্কেলে, তার বেতন হয় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
অর্থাৎ ওই সিনিয়র কর্মচারী জুনিয়র কর্মচারীর দুই বছরেরও বেশি সময় আগে একই পদে যোগদান করলেও সমান বেতন পাচ্ছেন। তাই ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত টাইম স্কেল বহাল রাখলে ওই সিনিয়র কর্মচারী চাকরির ১৫ বছর পূর্তিতে তৃতীয় টাইম স্কেল পেয়ে ১১ নম্বর গ্রেডে বেতন পেতেন এবং তাঁর বেতন দাঁড়াত ১৫ হাজার ২১০ টাকা। টাইম স্কেল ছাড়া সরকার ৩০ জুন ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত একটি ইনক্রিমেন্ট দিলেও সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মচারীদের মধ্যে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
যেহেতু সরকার সপ্তম বেতন স্কেলের সব ভাতা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বহাল রাখছে সেহেতু টাইম স্কেলও বহাল রেখে একটি ইনক্রিমেন্ট দিলে সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হবে। একই পদে নিযুক্ত সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মচারীদের সমস্যা সমাধানে ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত টাইম স্কেল বহাল ও সেই সঙ্গে একটি ইনক্রিমেন্ট দিয়ে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখক: ভাটপাড়া, নরসিংদী।
এসইউ/এমএস