ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

নাটোর

প্রাণ গ্রুপের চাকরি মেলায় সাক্ষাৎকার দিলেন আড়াই হাজার তরুণ-তরুণী

জেলা প্রতিনিধি | নাটোর | প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩

নাটোরে দেশের সর্ববৃহৎ কৃষিজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপের দিনব্যাপী চাকরি মেলা সফলভাবে শেষ হয়েছে। এ মেলায় আড়াই হাজার তরুণ-তরুণীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজে সকাল ১০টায় চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম।

এসময় প্রাণ গ্রুপ-এর নাটোর কারখানার জিএম হযরত আলী ও প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপক হাবিবুল হাসান সাইমন বক্তব্য দেন।

আকর্ষণীয় বেতনে নাটোরসহ প্রাণ গ্রুপ-এর দেশের বিভিন্ন স্থানের কারখানায় বেশকিছু সৎ, নিষ্ঠাবান, দক্ষ এবং পরিশ্রমী জনবল নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিন কলেজ মাঠে দেখা যায়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরিপ্রার্থীরা এসেছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আছেন। তারা প্রাণ-এর এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আশা করছেন, যোগ্যদের চাকরি হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রাণ গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপক হাবিবুল হাসান সাইমন বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি আবেদনকারী তাদের আবেদন জমা দিয়েছেন। তাদের সবার সিভি জমা নেওয়াসহ ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা এই কার্যক্রম চলে। তাদের মধ্যে যোগ্যতম প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রাণ দেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বেকার সমস্যার সমাধান করাসহ বিপুল জনশক্তির জন্য কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যারা চাকরির জন্য মনোনীত হবেন তারা শুধু নাটোর নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণ-এর কারখানাসহ যোগ্য প্রার্থীদের দেশের বাইরেও পাঠানো হবে। কারণ, প্রাণ বিশ্বের ১৪৪ দেশে পণ্য রপ্তানি করছে।

হাবিবুল হাসান সাইমন আরও বলেন, এত বিপুল পরিমাণ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ দেওয়া একদিনে সম্ভব হবে না। আমরা সিভি জমা নেওয়াসহ প্রাথমিক ইন্টারভিউ নিয়েছি। আবেদনপত্র বাছাই, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও কাজের অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে একটি শর্টলিস্ট তৈরি করা হবে। পরবর্তীকালে তাদের এসএমএসের মাধ্যমে ঢাকা অথবা নাটোরে চূড়ান্ত ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

রেজাউল করিম রেজা/এমআরআর/এএসএম