ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

পরিশ্রমই সানজিদা আলমের সফলতার হাতিয়ার

বেনজির আবরার | প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২

দেশের অনলাইন জগতে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কিছু নাম। তার মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করে সফল সানজিদা আলম। ইচ্ছা থাকলেই দারুণ কিছু করা যায় এ ধারণা এক সময় আমাদের দেশের মানুষের চিন্তার বাইরে ছিল। যে কারণে অনেক নারীকে ছাড়তে হয়েছিল স্বপ্নের ক্যারিয়ার মডেলিং।

সানজিদা আলম এ ধারণাকে বদলে দিয়ে নিজের স্বপ্ন থেকে পিছপা না হয়ে এগিয়ে চলেছেন। ফেসবুকের পাশাপশি সানজিদার ইউটিউব চ্যানেলও আছে। তার চ্যানেলের জনপ্রিয়তার ফলে তিনি ইউটিউব সিলভার প্লে বাটন পেয়েছেন। যেখানে বর্তমানে ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি সাবস্ক্রিপশন আছে।

সফল এ মানুষটি বললেন, ‘বিগত ৫ বছরে ৫ শতাধিক দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্র্যান্ড প্রোমটার এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে কাজ করেছি। সবকিছু মেইনটেইন করে মডেলিং প্রোফেশন, ইউটিউবিং এবং একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক জায়গায় রিজেক্টেড হয়েছি। অনেক বড় বড় অফার রিজেক্টও করেছি। আজ আমার সঙ্গে সারাদেশের প্রচুর ভাই-বোন এক হয়ে আমাকে এগিয়ে নিচ্ছেন।’

কোনো বাধা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরাবরই সবকিছুতে অনেক বাধা আর সুযোগ কম ছিল। কিন্তু ডেডিকেশন আর কঠোর পরিশ্রম ছিল অনেক। বর্তমানে পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হতে চাই।’

পরিবারের সমর্থন সম্পর্কে সানজিদা আলম বলেন, ‘শুরুতে পরিবারের তেমন অনুপ্রেরণা না পেলেও এখন সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পাই। একদিকে পড়াশোনা, অন্যদিকে ফুল অন প্রফেশনাল কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে এমনও দিন যায় যে, ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টাই কাজ করি। রাতের পর রাত আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিরলস পরিশ্রমের ফসল আজ আমি নিজেই।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে কোনো বাধাই বাধা নয়! আমার ইচ্ছা আছে আকাশ ছোঁয়ার।’

২০১৪ সালে যখন তার যাত্রা শুরু হয়, বেশকিছু অর্গানাইজেশন থেকে তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল সামান্য কারণে। কিন্তু তিনি আশা ছাড়েননি, চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। আরও দৃঢ়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন স্বপ্ন পূরণের জন্য। তার প্রথম ধাপ হিসেবে তিনি ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।

সানজিদা ব্লগার হিসেবে কাজ শুরু করেন ‘হিজাব টিউটরিয়াল’ তৈরির মাধ্যমে। পরে ধীরে ধীরে তার ব্লগে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল আবায়া বোরকা এবং জুয়েলারি নিয়ে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি একজন ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর ক্রেতা আকৃষ্ট করার মাধ্যমে।

এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন