নতুন চাকরি পেতে কী করবেন?
চাকরি যেন সোনার হরিণ। শত চেষ্টা করেও যোগ্যতানির্ভর চাকরি খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে করোনা আবহে চাকরির বাজারের আরও বেহলা অবস্থা। কাজের স্থানে নিত্য নতুন কিছু না কিছু পরিবর্তন হচ্ছেই।
এখন নতুনভাবে যারা চাকরি করতে চাচ্ছেন, তাদের উচিত নিজেকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রস্তুত করা। তেমনিই কয়েকটি উপায় আছে, যা অনুসরণ করলে চলতি বছরে ক্যারিয়ার গড়তে সুবিধা হবে আপনার। জেনে নিন নতুন চাকরি খুঁজে পাওয়ার ৫ উপায়-
>> মনের মতো চাকরি পেতে অবশ্যই দক্ষতাসম্পন্ন হতে হবে। এজন্য নিজেকে রাখতে হবে আপডেটেড। ডিজিটাল দক্ষতা আছে এমন ব্যক্তিদের বর্তমানে চাকরির বাজারে চাহিদা বেশি। তাই এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে।
এজন্য প্রথমেই আপনার ডিজিটাল দক্ষতাকে উন্নত করুন। নতুন নতুন কোর্স ও চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিন। জনপ্রিয়তায় যেসব নতুন বিভাগ এগিয়ে আছে, সেগুলো হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, সাইবার নিরাপত্তা, ডেটা সায়েন্স, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিজনেস অ্যানালিটিকস কোর্স ইত্যাদি।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স আছে যেমন- লিংকডইন লার্নিং, কোর্সেরা কিংবা উডেমি’র মতো অনলাইন লার্নিং পোর্টালসমূহ। নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়তে চাইলে এদের সাহায্য নিতেই পারেন।
>> কর্পোরেট জগতে চাকরি করতে হলে, নিজস্ব নেটওয়ার্কিং শক্ত থাকা জরুরি। আপনার নেটওয়ার্ক যত ভালো হবে, ততই মসৃণ হবে আপনার ক্যারিয়ার। কখন কোথায় জনবল নিচ্ছে বা নতুন কোন সংস্থা আপনার মতো কর্মী খুঁজছে তা নিজস্ব নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে খুঁজুন।
>> সবারই চাকরি ও ক্যারিয়ার নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। একটি ভালো চাকরি আপনাকে ভালো বাৎসরিক প্যাকেজ বা বোনাস দিতে পারবে। তবে ভালো চাকরি মানেই কিন্তু ভালো ক্যারিয়ার নয়, এ কথা মনে রাখবেন।
ক্যারিয়ার তৈরির জন্য আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আরও জানতে ও শিখতে হবে। তাই যে কোনো বিষয়ে ক্যারিয়ার শুরুর আগে ভালো করে ওই বিষয়ে জানতে ও শিখতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে চাকরি পেতেও সুবিধা হবে।
>> হঠাৎ করেই কোথাও চাকরি আবেদন করবেন না। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুসারে তবেই কোথাও চাকরির আবেদনপত্র পাঠান। অনেকেই বিভিন্ন স্থানে সিভি ড্রপ করেন এই ভেবে যে, কোথাও না কোথাও তো হবেই! এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়।
>> চাকরির আবেদনে যে সিভি বা কারিক্যুলাম ভিটা পাঠাবেন, সেটি হতে হবে একেবারে স্পষ্ট ও সঠিক তথ্য নির্ভর। বর্তমান প্রতিযোগিতায় নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে চিহ্নিত করতে হলে সিভিতে কিছু ‘মূল্যবান পয়েন্ট’ রাখা বাধ্যতামূলক।
এজন্য জব ডেস্ক্রিপশন বা চাকরির বিষয়ে আগে ভালো করে জানতে হবে। তারপর ওই কাজের জন্য যা যা দক্ষতা থাকা দরকার সেগুলো সিভিতে হাইলাইট করুন। বাকি দক্ষতাগুলো শুধু উল্লেখ করুন। এতে অন্যদের ভিড়ে আপনার সিভিই কর্তৃপক্ষের নজর কাড়বে।
সূত্র: ফোর্বস
জেএমএস/জিকেএস