কর্মজীবনে সফল হতে যেসব দক্ষতা অর্জন জরুরি
যে কোনো সময়ই করতে পারেন নতুন পরিকল্পনা কিংবা শিখতে পারেন নতুন কিছু। কর্মজীবনে নতুন কিছু করার প্রত্যয় থাকা জরুরি। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যদি কর্মজীবনকে টেকসই ও সাফল্যমণ্ডিত করতে চান, তাহলে কিছু জীবনমুখী দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরি। যেসব দক্ষতা অর্জন না করলেই নয়, জেনে নিন সে দক্ষতাগুলো সম্পর্কে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন—
সমস্যা সমাধান: বর্তমানে আপনি যত কম সময়ে এবং নির্ভুলভাবে নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন, আপনার পেশাগত জীবনে উন্নতি করার সম্ভাবনা তত বেশি। এজন্য জীবনমুখী নানা ধরনের দক্ষতা অর্জনের দিকে নজর দিতে হবে। আপনি যত বেশি সৃষ্টিশীল চিন্তা করতে সক্ষম হবেন, আপনার পেশাগত জীবনে উন্নতি করার সম্ভাবনাও তত বাড়বে। শুধু সমস্যা সমাধান করলেই হবে না, উত্তরণের উপায়ও বাতলে দিতে হবে।
কৌশলগত পরিকল্পনা: আপনি যদি শুধু অনুমাননির্ভর কাজ করতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন করার সম্ভাবনা আস্তে আস্তে শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং এ অবস্থার ফলে ভবিষ্যতে কী ধরনের ফলাফল আসতে পারে; সেটি বিবেচনা করে যে কোনো ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যাতে পরিকল্পনাটি টেকসই ও ফলপ্রসূ হয়। তাই পরিকল্পনা গ্রহণে কীভাবে কৌশলী হওয়া যায়, সে দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরি।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা: সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের সবারই একটি কমন সমস্যা। এটি আমাদের কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের অন্যতম অন্তরায়। তাই নতুন বছরে আমাদের অবশ্যই অনুশীলন করা উচিত, কীভাবে আমরা যে কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। স্নায়ু দুর্বলতায় না ভুগে বরং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সঠিক নেতৃত্বের গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম।
মনোযোগ দিয়ে শোনা: আমরা সবাই শোনার চেয়ে বলতে বেশি আগ্রহী। আর এজন্যই আমরা পিছিয়ে! কেননা কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের অন্যতম একটি সূচক হলো অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শোনা ও তার কথাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া। সুতরাং শোনার দক্ষতা বা লিসেনিং স্কিল চর্চা করা আমাদের জন্য অপরিহার্য!
সঠিক ব্যবস্থাপনা: বর্তমানে অল্প সময়ে বেশি কাজ করা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এজন্য আমাদের সঠিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চর্চা করা উচিত। যাতে একই সময়ে অনেকগুলো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারি। এটি আপনার কর্মজীবনকে আরও বেশি সাফল্যমণ্ডিত করবে।
তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান: অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট, কম্পিউটার কিংবা মহাকাশ প্রযুক্তি ছাড়া জীবন অচল। তাই এ যুগে টিকে থাকতে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান ও বাস্তব জীবনে প্রয়োগ দক্ষতা থাকা জরুরি। বিশেষত ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইউএক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ক্লাউড কম্পিউটিং, ব্লকচেইন, সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ দক্ষতা থাকা খুবই জরুরি।
তাই সবারই উচিত জীবনমুখী দক্ষতার চর্চা করা। যাতে পেশাগত জীবনে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
এসইউ/জিকেএস