ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

মীর মেহেদীর সফলতার গল্প

বেনজির আবরার | প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১

বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাংআউট, পরিবারের সঙ্গে বিশেষ দিবস উদযাপন, প্রিয় মানুষের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য বর্তমানে সবার পছন্দ পিৎজা বার্গ। সাধ্যের নাগালে খাবারের সেরা মান, আকর্ষণীয় ইন্টেরিয়র, সেরা সার্ভিসসহ পরিপূর্ণ প্যাকেজ পিৎজা বার্গ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। এ কারণেই বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় মীর মেহেদীর গড়ে তোলা পিৎজা বার্গ।

কেন এত জনপ্রিয় পিৎজা বার্গ—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে জানতে হবে পিৎজা বার্গের ফাউন্ডার মীর শামসুল বারী মেহেদীর গল্প। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করা এ তরুণ ব্যবসা শুরুর গল্প জানতে চাইলে বলেন, ‘অন্য সবার মত আমিও ছাত্রজীবনে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোয় পার্ট টাইম চাকরিতে জয়েন করি। সেখান থেকেই উপলব্ধি হয় যে, চাকরিতে নিজের পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারব না। তাই নিজেই পিৎজা বার্গের মত নতুন কিছুর উদ্যোগ নেওয়া।’

এর আগেও বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টের ফাউন্ডিং মেম্বার ছিলেন তিনি। সেগুলোর অভিজ্ঞতা আর নতুন কিছু করার প্রয়াসই পিৎজা বার্গকে এনে দিয়েছে সফলতা। লাইফস্টাইল মার্কেটিং দিয়ে সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে পিৎজা বার্গ। যা তাদের সফলতার অন্যতম কারণ।

রেস্টুরেন্টের নাম পিৎজা বার্গ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী বলেন, ‘নাম শুনেই যেন কাস্টমাররা বুঝতে পারেন পিৎজা আর বার্গারের জন্যই মূলত রেস্টুরেন্টটি। আমাদের রেস্টুরেন্ট পিৎজার জন্য জনপ্রিয় হলেও এখানে সবার পছন্দ অনুযায়ী আছে বার্গার, এপেটাইজার, ড্রিংকস ও সেট মেন্যু। এমনকি শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট ফ্রেন্ডলি মেন্যুও আছে।’

পিৎজা বার্গের সেরা পিৎজা কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা থমকে যান মেহেদী। বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি পিৎজার আলাদা ফ্যানবেজ আছে। বিশেষত ‘মিটি অনিয়ন’, ‘সসেজ কার্নিভাল’, ‘মিট মেশিন’, ‘ফোর ফ্লেভার’—এ পিৎজাগুলোর চাহিদা সব সময় বেশি।’

অনেক রকম চিজ, টপিংয়ের ব্যবহারে পিৎজাগুলোর স্বাদে কোনো কমতি রাখেন না মেহেদী। তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রিয়তা পাওয়া কঠিন, কিন্তু ধরে রাখা আরও কঠিন। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি, আমাদের পিৎজার স্বাদ প্রতিনিয়ত ইমপ্রুভ করার। সব ব্রাঞ্চে স্বাদ ঠিক রাখতে আলাদা কন্ট্রোল টিম আছে। পিৎজার ডো কিংবা টপিং তৈরি করা হয় সেন্ট্রাল কিচেনেই। বেকিং পার্ট করা হয় ব্র্যাঞ্চের কিচেনে। পিৎজার উপকরণের প্রায় ৮০ ভাগই বাইরের দেশগুলো থেকে আনা হয়।’

পিৎজাবার্গের পথচলা কবে শুরু, কাদের হাত ধরে শুরু? এর উত্তরে মেহেদী বলেন, ‘২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরের প্রথম ব্র্যাঞ্চের মাধ্যমে পিৎজা বার্গের পথচলা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। শুরুর দিকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দেয় আমার পরিবার, বিশেষত আমার বাবা। বন্ধুদের মধ্যে হিয়া মার্কেটিংয়ের দিক থেকে অনেকটা সাহায্য করেছে। সবার সহযোগিতায় পিৎজা বার্গের এখন নয়টি ব্র্যাঞ্চ। সবগুলোই বেশ ভালোভাবে চলছে।’

এপর্যন্ত আসতে কোনো বাধা-বিপত্তি পার করতে হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী বলেন, ‘একদম সাধারণ পরিবারে ১৯৯১ সালে আমার জন্ম। স্বভাবতই পরিবারের প্রত্যাশা ছিল হয়তো প্রাইভেট কোনো কোম্পানিতে আমি চাকরি করব। তাদের বোঝাতে একটু কষ্ট হলেও পরে তারাই আমার সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছিলেন। করোনা মহামারিতে সব ব্যবসায়ীর মতো আমাকেও টিকে থাকতে লড়াই করতে হয়েছে।’

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এ বার্তা পৌঁছে দিতে চান মেহেদী, সফলতার জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। পিৎজা বার্গ নিয়ে সামনের পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা আছে কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় পিৎজা বার্গের ব্র্যাঞ্চ তৈরি করার।’

এছাড়া তিনি স্বপ্ন দেখেন, একদিন পিৎজা বার্গ বাংলাদেশের মানচিত্র ছাড়িয়ে ইন্টারন্যাশনাল পিৎজা চেইন হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবে।

এসইউ/জিকেএস