সমন্বয়হীনতায় ফের একাধিক পরীক্ষার বেড়াজালে চাকরিপ্রার্থীরা
শুক্রবার মানেই যেন চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে সেপ্টেম্বরের পর থেকে শুরু হয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা। শুক্রবার মানেই ডজনের ওপর পরীক্ষা আর পরীক্ষার্থীদের হন্যে হয়ে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়ানো। আগামীকাল শুক্রবারও (৫ নভেম্বর) ২৬টি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৭টি সকালে, ৯টি বিকেলে।
ফের একদিনে এতগুলো পরীক্ষা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বলছে, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এমন ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ১৭টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, কর কমিশনারের কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সিলেট শ্রম আদালত, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, খাদ্য অধিদপ্তর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে ৯টি পরীক্ষা। পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে- সমন্বিত সাত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, সিলেট শ্রম আদালত, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পরীক্ষা।
এ বিষয়ে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এগুলো আবার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নিজ নিজ উদ্যোগে শুক্র ও শনিবার পরীক্ষাগুলো নিচ্ছে। তবে কারও মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। একদিনে অনেক পরীক্ষা হওয়ায়, প্রার্থীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকে একাধিক পরীক্ষা দিতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, এজন্য নিয়োগ পরীক্ষা সেল তৈরি করা প্রয়োজন। যার দায়িত্ব হবে কার কবে পরীক্ষা সেগুলো জেনে পরীক্ষার দিন, তারিখ ঠিক করা। এতে একইদিনে একাধিক পরীক্ষা হওয়ার সুযোগ কমবে। তবে বন্ধের দিনগুলোতে পিএসসি আর কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসএম/ইএ/জিকেএস