ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

বাবার স্বপ্নপূরণে বিসিএস ক্যাডার হন রুবেল

মমিন উদ্দিন | প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ২৫ জুন ২০২০

ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল ৩৯তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। তার জন্ম কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খাটাইয়া গ্রামে। বাবা মাসুদুর রহমান, মা শাহানারা বেগম। তিনি জিপিএ ৫ (গোল্ডেন) পেয়ে শিলমুড়ী আর আর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

সম্প্রতি তার বিসিএস জয়, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন জাগো নিউজকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মমিন উদ্দিন—

ছোটবেলা কেমন কেটেছে?
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: অনেক মজার ছিল সময়টা। টিপিকাল গ্রামের ছেলে ছিলাম। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা, খেলাধুলা করে সময় কাটতো। স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি এখনো মনে হলে একটি অকৃত্রিম ভালো লাগা কাজ করে।

jagonews24

পড়াশোনায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল কি?
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: পারিবারিক কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল না। তবে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। গ্রামে কিংবা আশেপাশের গ্রামে এমন কেউ ছিল না, যাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবো। বাবা প্রবাসে থাকেন, তার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন। তার স্বপ্ন একসময় নিজের স্বপ্ন হয়ে গেল।

বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: এমবিবিএস পাস করার পর দু’টো স্বপ্ন ছিল, বিসিএস আর পোস্টগ্রাজুয়েশন।

বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই—
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: ইন্টার্নির শেষের দিকে তখন গাইনিতে প্লেসমেন্ট ছিল। বিসিএসের সার্কুলার দিলো।ডিউটির সাথে বিসিএসের পড়াশোনা, দুটি একসাথে চালানো খুব কষ্ট হচ্ছিল। তেমন পড়া হচ্ছিল না। তাই একটি কোচিং সেন্টারের এক্সাম ব্যাচে ভর্তি হলাম। অনেক বছর পর বাংলা পড়তে হ-য-ব-র-ল লাগছিল। কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে গেলাম। কিছুদিন পর ইন্টার্নশিপ শেষ হলো। ভালো কিছু সময় পেলাম পড়ালেখা করার জন্য। কিছুদিন পর পরীক্ষা হলো। প্রিলিতে টিকে গেলাম। পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করলাম। সাথে পোস্টগ্রাজুয়েশনের প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করলাম। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ১ম বার এফসিপিএস পরীক্ষা দেই। আল্লাহর রহমতে পার্ট-১ পাস করি পেডিয়াট্রিক্সে। পোস্টগ্রাজুয়েশন ট্রেনিং শুরু করি আর বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে থাকি। পরিশেষে নভেম্বরে গেজেটেড হই এবং ডিসেম্বরে যোগদান করি।

jagonews24

কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কি?
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: হ্যাঁ, বাবার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া, বিসিএস ক্যাডার হওয়া। তাছাড়া আমার স্কুলের শিক্ষকরা সব সময় অনুপ্রাণিত করেছেন।

একজন চিকিৎসক হিসেবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন পছন্দ করি। একজন ভালো শিশু বিশেষজ্ঞ হতে চাই। এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে চাই।

jagonews24

সাম্প্রতিক করোনা দুর্যোগে আপনার ভূমিকা কী?
ডা. আরিফুল ইসলাম রুবেল: আমার পোস্টিং হয়েছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। করোনা মহামারীতে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে কাজ করছি। এ উপজেলার করোনা ফোকাল পারসন হিসাবে রোগী শনাক্তকরণ, নমুনা সংগ্রহ, করোনা রোগীর চিকিৎসা প্রদান, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করছি।

এসইউ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন