১৮ বছর বয়সেই স্বপ্নপূরণ হলো অর্জুনের
কখনো কখনো ওষুধ কিনতে গিয়ে মানুষকে হতাশায় পড়তে হয়। তাই সাধারণ মানুষের হাতে ন্যায্যমূল্যে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। সে স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। বলছিলাম অর্জুন দেশপাণ্ডের কথা। ভারতের এই তরুণের বয়স মাত্র ১৮ বছর। অবাক হলেও ঘটনাটি সত্য।
শুধু তা-ই নয়, অর্জুন দেশপাণ্ডের এ স্বপ্নকে চিরস্থায়ী করতে এগিয়ে এসেছেন ভারতের বিখ্যাত ব্যবসায়ী রতন টাটা। সম্প্রতি অর্জুনের প্রতিষ্ঠান ‘জেনেরিক আধার’র ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন তিনি। এমনকি খুব শিগগিরই ‘জেনেরিক আধার’ ক্যান্সারের ওষুধ নিয়েও কাজ করবে।
জানা যায়, জেনেরিক আধার সরাসরি প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে। পরে ওষুধ তৈরি করে তা পাঠায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। এখানে মধ্যসত্ত্বভোগী না থাকায় খুব সহজেই ওষুধ পৌঁছে যায় সাধারণ মানুষের হাতে। ফলে চলতি বাজারদরের চেয়ে অনেক কম দামে রোগীরা ওষুধ কিনতে পারবেন।
এর ফলে ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য কম দামে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। আপাতত শুধু ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ নিয়ে কাজ করছে অর্জুনের প্রতিষ্ঠান। অর্জুন জানান, এ উদ্যোগের পেছনে তার মায়ের অনেক অবদান রয়েছে।
অর্জুনের মা আন্তর্জাতিক ওষুধের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় বহুবার বিদেশ সফর করেছেন তিনি। তখন অনুভব করেন, বিদেশের তুলনায় তাদের দেশে ওষুধের দাম অনেক বেশি। তখন তার মা জানান, একই কম্পোজিশনের ওষুধের দাম ব্র্যান্ডভেদে পরিবর্তিত হয়।
এরপর থেকেই ওষুধের দামের বিষয়ে তার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়। আর সেই উদ্যোগ এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সেদিনের সেই স্বপ্ন এখন সফল হতে চলেছে। অর্জুন জানান, তার প্রতিষ্ঠান জেনেরিক আধারের বার্ষিক ব্যবসা ৬ কোটি টাকা।
তবে অর্জুনের ‘জেনেরিক আধার’ই রতন টাটার জন্য প্রথম নয়। এর আগেও তিনি তার দেশের নতুন উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ওলা, উবার, পেটিএম, আর্বান ল্যাডারের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও লগ্নি করেছেন।
এসইউ/এমকেএইচ