আর কত করুণ পরিহাসের চাকরি
স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও কেন আমরা অসহায়, কেন আমরা মৃত্যুসম যন্ত্রণা ভোগ করছি? ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে ১৫ হাজার ১৯ জন প্রার্থীকে ‘শিক্ষক পুল’ হিসেবে বাছাই করা হয় পরবর্তী সময়ে নিয়োগ দেয়া হবে বলে।
কিন্তু পত্রিকায় অনেক লেখালেখির পর ২০১৪ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন ছুটিতে থাকা শিক্ষকের স্থানে এক অমানবিক শর্ত জুড়ে নিয়োগ দেয়া শুরু হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, আপনাদের কাছে বিনীতভাবে আমরা জানতে চাই আর কত দিন এ ধরনের অমানবিক শর্তের বিনিময়ে যাযাবরের মতো এই করুণ পরিহাসের চাকরি করতে হবে? একবার ভাবুন, ২০১২ আর ২০১৬ সালের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান। জীবন থেকে ঝরে যাওয়া এই সোনালি সময়গুলো আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন কি?
অথচ বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় ৪০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়ে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। তাহলে কেন পুল শিক্ষকদের শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না? কেন আমাদের অপরাধীর মতো শাস্তি দেয়া হচ্ছে?
কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের বিনীত প্রার্থনা, দয়াকরে আপনাদের সহানুভূতির দরজা দ্রুত আমাদের জন্য খুলে দিন।
লেখক: মুজিব সড়ক, যশোর।
এসইউ/এবিএস