জেনে নিন ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার উপায়
ছাত্রজীবন শেষে প্রত্যেকেই ইন্টারভিউয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কারণ ইন্টারভিউ ছাড়া কর্মজীবনে প্রবেশ করার আর কোনো পথ নেই। ক্যারিয়ারে পা রাখতে গিয়ে ইন্টারভিউ নামক জটিল ও ভয়ানক জিনিসটিকে ভয় পেয়ে ছিটকে পড়তে হয় অনেককে। কিন্তু আপনি জানেন কি? ইন্টারভিউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার কৌশল কি আপনার জানা আছে? যদি না থাকে তাহলে এখনই জেনে নিন।
আপনার নাম
পরিচয় দেয়ার সময় আপনার নামটা দু’বার বলুন। যেমন- জেমস, জেমস বন্ড। আসলে এভাবে বললে অনেক বেশি প্রত্যয়ী মনে হয়।
প্রশ্ন আছে কিনা
ইন্টারভিউ শেষ হলে যদি আপনার থেকে জানতে চাওয়া হয় যে আপনার কোনো প্রশ্ন আছে কিনা? তাহলে আবশ্যই ‘হ্যাঁ’ বলবেন এবং জানতে চাইবেন ওই নির্দিষ্ট চাকরির জন্য আপনার করা আবেদনের মধ্যে এমন কী কিছু আছে যা চাকরিদাতাদের ভাবিয়েছে? এই প্রশ্নটি আপনি করলেই এর উত্তরের মধ্য দিয়ে আপনি বুঝে নিতে পারবেন যে আপনার ইন্টারভিউটা মোটের উপর কেমন হয়েছে? প্রার্থীরা অনেক সময় এর উত্তরে আপনার কোন জায়গায় দুর্বলতা ছিল সেটাও উল্লেখ করে দেন।
ওয়ার্ড ডকুমেন্ট নয়
যদি না নির্দিষ্টভাবে চাওয়া হয়, তাহলে কখনই আপনার সিভি বা রেজিউমে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট হিসেবে পাঠাবেন না। সবসময় পিডিএফ ফরম্যাটে পাঠাবেন। কারণ, পিডিএফ ফরম্যাটে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন ও পেশাদার দেখতে মনে হয় এবং সহজে এডিটও করা যায় না।
খোঁজ-খবর
যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন তার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে যান, প্রয়োজনে ইন্টারনেটের সাহায্য নিন। যদি জানতে পারেন যে, কে আপনার ইন্টারভিউ নেবেন তাহলে তাঁর সম্পর্কেও ‘রিসার্চ’ করে যেতে পারলে ভালো হয়।
রুচিশীল পোশাক
যে ধরনের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দেবেন সেটা মাথায় রেখে ভদ্র ও রুচিশীল পোশাক পরে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
মোবাইল ফোন
ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার আগে অবশ্যই মোবাইল ফোনটা সাইলেন্ট নয় একদম সুইচড অফ করবেন। না হলে আপনার মনযোগ নষ্ট হতে পারে।
জড়তাহীন ভাব
ইন্টারভিউয়ের সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। এতে আপনাকে অনেক বেশি প্রত্যয়ী মনে হবে। হাঁটা-চলা, কথা বলা এ সবকিছুর মধ্যেই একটা সতেজ ও জড়তাহীন ভাব থাকা আবশ্যক। এছাড়া আপনি যে পদের জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সে সম্পর্কে কিছু জানার থাকলে অবশ্যই জানতে চাইবেন।
এসইউ/এমএস