জেনে নিন উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়- ১ম পর্ব
উদ্যোক্তা যে কেউ হতে পারেন। সফল হওয়াটা ভিন্ন ব্যাপার। উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়ার রাস্তা কিন্তু সহজ নয়। তাই উদ্যোগ নেয়ার আগেই যাচাই করে নিতে হয় উদ্যোগের সম্ভাব্যতা। অনেকে না বুঝেই নেমে পড়েন। একটু চোখ-কান খোলা রাখুন। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে প্রস্তুতি হিসেবে অনেক কিছুই করণীয় থাকে। তাহলে জেনে নিন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়। আজ প্রকাশ হচ্ছে ১ম পর্ব-
আত্মবিশ্বাস
প্রত্যেক মানুষের কিছু গুণ থাকে। সফল উদ্যোক্তার প্রধান গুণ হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। যার আত্মবিশ্বাস যত বেশি তার সাফল্য তত বেশি। যদিও এটি অর্জন করা কঠিন। সফল উদ্যোক্তা তার আশপাশের আত্মবিশ্বাসী লোকদের মধ্যে অন্যতম। আপনাকে হতে হবে স্থির ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, যা আত্মবিশ্বাসকে আরও বৃদ্ধি করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে।
ইতিবাচক মনোভাব
ব্যবসা শুরুর আগে মনে রাখতে হবে, ব্যবসা করতে গেলে ঝুঁকি থাকবে। আর এ ঝুঁকি থাকার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব অবশ্যই থাকতে হবে।
উদ্দেশ্য
সব কাজেই একটা উদ্দেশ্য থাকে, উদ্দেশ্যবিহীন কাজ ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। বিশ্বাস করতে হবে আপনি ব্যতিক্রমী কিছু করতে সক্ষম।
কৌতূহলী হওয়া
কৌতূহল সফল উদ্যোক্তাদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি বাজার যাচাই, সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। ব্যবসায়িক নতুন কলা কৌশল উন্নয়নেও সহায়তা প্রদান করে থাকেন।
কঠোর পরিশ্রমী
উদ্যোক্তা হতে হলে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। তিল তিল করে গড়ে তোলা বিজনেস এক সময় বিশাল শিল্প সামাজ্য করে সাজাতে সততা আর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এরপর আপনাকে হতে হবে ডায়নামিক এবং চৌকস। কেননা উদ্যোক্তা হতে আপনাকে পিওন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রধানের সঙ্গে পর্যন্ত কথা বলতে হবে। অধিক পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। কোনো কারণে কাজে সফল না হতে পারলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। অধিক মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
দৃশ্যকল্প অংকন
মনে মনে আপনার ব্যবসার দৃশ্যকল্প আঁকুন। কীভাবে সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে দেখুন। সেখানে নানা রকম দৃশ্যপট উপস্থাপিত হবে। সবকিছু সুচারুভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। একজন সফল উদ্যোক্তা তার বাস্তব জীবনে দৃশ্যপটের যথাযথ প্রয়োগে সফলতা অর্জনে সক্ষম হন।
ধৈর্যশীলতা
কঠোর ধৈর্যশীলতার মাধ্যমে ব্যবসার পথকে অধিকতর মসৃণ করতে হবে। ব্যবসায় সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা নামক শব্দটি থাকে। ব্যর্থতা নামক শব্দটিতে ধৈর্যশীলতার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যবসার সুদীর্য পথ অতিক্রম করে সফল উদ্যোক্তা হতে অবশ্যই ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
চ্যালেঞ্জ গ্রহণ
বর্তমান সময়ে ব্যবসার প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল। ব্যবসার শুরু থেকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। যারা আপনার প্রতিপক্ষ তাদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে হবে। সফল উদ্যোক্তাকে বহু সমুদ্র যাত্রার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ ও ঝানু নাবিকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যিনি ভবিষ্যতকে দেখতে পান। সব ব্যবসায়িক সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সর্বোত্তম উপায়ের সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন।
ঝুঁকি গ্রহণ
ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমেই মনে রাখবেন আপনাকে ব্যবসায় ঝুঁকি গ্রহণের মন-মানসিকতা থাকতে হবে। ইংরেজিতে একটা কথা আছে-No risk no gain. যার কোনো বিকল্প নেই।
এসইউ/এমএস