ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি

জানার জন্য প্রচুর পড়তে হবে, মুখস্থ করার জন্য নয়

আনিসুল ইসলাম নাঈম | প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪

বিশ্বজিৎ সর্দার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সহকারী পরিচালক’ (২০২৩ ব্যাচ) পদে চাকরি পেয়েছেন। তার শৈশব ও বেড়ে ওঠা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার সুমেরুখোলা গ্রামে। তিনি ২০১০ সালে শিংগাশোলপুর কেপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১২ সালে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে এমএসসি পাস করেন।

সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার গল্প ও নতুনদের পরামর্শ নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন, আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
বিশ্বজিৎ সর্দার: যে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রেজাল্ট হয়; সেসময় আমি শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরে অডিটর হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম। রেজাল্ট পাই ছোট ভাই চয়নের কাছ থেকে। তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়! আমার তখনকার অফিসের ২২ ব্যাচের অডিটররা ও অফিসের অন্যান্য স্যার আমার সাফল্যে খুবই খুশি হন। অফিসের সেদিনের বিকেল অনেকটা আমার সাফল্য উদযাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?
বিশ্বজিৎ সর্দার: আসলে বিএসসি বা অনার্সের শেষের দিক থেকে আমি প্রথম শ্রেণির চাকরির উদ্দেশ্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। তখন বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিপারেশন একই সাথে নিতে থাকি। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও অন্যান্য ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের সাথে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে থাকি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করার জেদ চাপে সহকারী পরিচালক ২০২২ সালের লিখিত পরীক্ষার সময়। পরীক্ষাটা খুবই খারাপ হয়েছিল। ফলে মনের ভেতর একটা জেদ চাপে, একদিনের জন্য হলেও আমার বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতে হবে।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার গল্প শুনতে চাই, প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছেন?
বিশ্বজিৎ সর্দার: আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তুতি কখনো নেওয়া হয়নি। বিসিএস কেন্দ্রিক পড়াশোনা করেছি। আর বরাবর গণিতে ভালো হওয়ায় আলাদাভাবে তেমন কিছু করার প্রয়োজন হয়নি। পরীক্ষার আগে শুধু ব্যাংকে যে ধরনের প্রশ্ন হয়; সেই ধরনের টপিকগুলো বিভিন্ন পেপার থেকে পড়ার চেষ্টা করেছি। মুখস্থ করার চেয়ে সব বিষয়ে মোটামুটি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে পরীক্ষার হলে যে কোনো বিষয় এলে মোটামুটি উত্তর করতে পারি। এর সাথে বিভিন্ন বিষয়ের ইংরেজি আর্টিকেল পড়ার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে ব্যাংকের প্রতিটি ধাপে উতরে যেতে পেরেছি।

জাগো নিউজ: আড়াল থেকে সব সময় কারা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন?
বিশ্বজিৎ সর্দার: আজ আমি যতদূর পর্যন্ত এসেছি বা সামনে যতদূর যাবো, এর পুরো কৃতিত্ব আমার বাবা-মায়ের। তাদের পরিশ্রম আর আমার চেষ্টার ফল পেয়েছি।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পেতে নতুনরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
বিশ্বজিৎ সর্দার: নতুন যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারা জানার জন্য প্রচুর পড়তে হবে, মুখস্থ করার জন্য নয়। পরীক্ষায় মুখস্থ কোনো কিছু আসার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই সব বিষয় সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকতে হবে, যাতে যে কোনো বিষয়ে ২-৩ পৃষ্ঠা ইংরেজিতে লেখা যায়। বেশি করে অনুবাদ করতে হবে, এতে লেখার দক্ষতা বাড়বে। গণিতে মার্ক কম হলেও পুরো মার্ক পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত জ্ঞানে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বিশ্বজিৎ সর্দার: বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ বছর চাকরির পর স্কলারশিপের সুযোগ আছে। সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ব্যাংকিং সেক্টর তথা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো।

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন