ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: ইংরেজি

ইসমাম হোসাইন | প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৩

শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি। এ নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে ভালো করার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন ৪০তম বিসিএসের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হাসান সৌরভ—

ইংরেজি
বিসিএস লিখিত ইংরেজি প্রস্তুতিতে রচনা ব্যতীত নির্দিষ্টভাবে পড়ার কিছু নেই। তবে যারা বেসিক গ্রামার ও ফ্রি হ্যান্ডরাইটিংয়ে দক্ষ, তারা নিঃসন্দেহে অনেক এগিয়ে থাকবেন।

কেউ যদি ইংরেজি প্রস্তুতির ব্যাপারে এক বাক্যে জানতে চান, তাহলে বলবো, ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন। এর কোনো বিকল্প নেই। যখন আপনি ইংরেজি পত্রিকা পড়ছেন; তখন খেয়াল করুন, সেখানে কী ধরনের Alternative words, linker, Complex sentence ব্যবহার করা হচ্ছে। পত্রিকায় লেখা কোনো একটি লাইনকে আপনার নিজের লেখার সঙ্গে তুলনা করুন। তাহলে আপনার ফ্রি হ্যান্ডরাইটিংয়ের ঘাটতির জায়গাটুকু শনাক্ত করতে পারবেন। তাতে আপনার লেখার মান বাড়বে।

অনেক প্রার্থী কঠিন কঠিন সম্পাদকীয় কলাম পড়তে গিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, যা অনুচিত। আপনি পত্রিকার যে কোনো পৃষ্ঠাই পড়ুন না কেন, আপনার উন্নয়ন ঘটবেই। এর জন্য দরকার নিয়মিত অনুশীলন। দৈনিক ৩-৪টি কলাম মনোযোগের সঙ্গে পড়লে একমাস পর উন্নতিটা নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

ইংরেজিতে ভালো করতে চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন
১. বানান ভুল একজন লিখিত পরীক্ষার্থীর জন্য খুবই দৃষ্টিকটু। ভুলবশত বা অসচেতনভাবে যাদের বানান ভুল করার অভ্যাস আছে; তারা যে কোনো টপিক মনোযোগ দিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন।

২. বেসিক গ্রামারে কারো সমস্যা থাকলে টপিকগুলো (Parts of speech, tense, transformation of sentence, parallelism, condition, voice, narration, right form of verb, transformation of sentence) জানা থাকলে বাক্য গঠনে আশা করা যায় আর ভুল হবে না। বাকিটা নির্ভর করছে আপনার ভোকাব্যুলারি প্রয়োগের দক্ষতা ও বেশি বেশি প্যাসেজ বা পত্রিকা পড়ার ওপর।

৩. কখনোই Comprehension থেকে নকল করে লিখবেন না। এতে পরীক্ষকের আপনার প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি হবে। Comprehension ভালো করে পড়ুন এবং নিজের ভাষায় প্রশ্নের উত্তর করুন। চেষ্টা করুন, প্রতিটি উত্তর যেন ২-৩-৪ বাক্যে হয়। নামকাওয়াস্তে এক বাক্যে উত্তর লিখলে তাতে মান কমে যায়।

৪. বাক্য রচনার ক্ষেত্রে গঠনমূলক ও পজিটিভ অভিব্যক্তি তৈরি হয়, এমন কথা লিখুন। অনেক পরীক্ষার্থী খাতায় ব্যাকরণগত সঠিক বাক্য লেখেন কিন্তু তার মধ্যে ভাবের অসম্পূর্ণতা থাকে, যা পরিহার করাই ভালো। যেমন ধরুন, Alleviation দিয়ে বাক্য রচনার ক্ষেত্রে আপনি লিখলেন ‘Poverty alleviation is a good task’। বাক্যটি সঠিক হলেও একজন লিখিত পরীক্ষার্থীর কাছে পরীক্ষকের প্রত্যাশা নিশ্চয়ই আরও বেশি। তাই Complex/Compound Sentence ব্যবহার করে লিখলে বাক্যের মান আরও বাড়বে। আপনি বরং লিখুন: Our government has taken many initiatives as a part of poverty alleviation program and we hope that the percentage of poor people will reduce drastically within next ten years.

৫. লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে Vocabulary খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে ভালো করতে নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন ও ভালো মানের একটি বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১০০০ (কম-বেশি) শব্দার্থ Synonym, antonym-সহ শিখে ফেলুন এবং লেখায় প্রয়োগ করুন।

৬. ট্রান্সলেশনের ক্ষেত্রে বলতে হয়, এটি এমন একটি টপিক; যা আপনার বিসিএসের সমীকরণ বদলে দিতে পারে। এতে ভালো করতে পারলে ক্যাডার হওয়ার পথে আপনি অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন। অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিকের Keywords (যেমন Economic recession=অর্থনৈতিক মন্দা) শিখে ফেলুন এবং পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ টপিক অনুশীলন করুন। আক্ষরিক অর্থ না করে বাক্যের মাধুর্য বজায় রেখে ভাবানুবাদ করুন।

আগের পর্ব- বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: বাংলা

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন