ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাগো জবস

মেটার পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার আশফাক সালেহীনের গল্প

আনিসুল ইসলাম নাঈম | প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২২

আশফাক সালেহীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ২০১৪ সালে বিএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। বিশ্বসেরা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম টপট্যালে ফ্রিল্যান্সিং করেন। এ ছাড়া থাইল্যান্ডে প্রায় ৩ বছর চাকরি করেন। তখন থেকেই টেকজায়ান্ট কোম্পানিতে চাকরি করার ইচ্ছা জাগে। এরপর একাধিকবার গুগল, মেটা এবং অ্যামাজনে ইন্টারভিউ দেন এবং ব্যর্থ হন। শেষবার ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মেটার লন্ডন অফিসে ইন্টারভিউ দেন এবং মেটার ‘পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার’ পদে চাকরির অফার পান।

মেটায় চাকরি পাওয়া, নতুনদের পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন জাগো নিউজকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: আপনার শৈশব কেমন কেটেছে?
আশফাক সালেহীন: স্কুলজীবন কেটেছে ফরিদপুর জিলা স্কুলে এবং কলেজজীবন কেটেছে ঢাকা কলেজে। সেই সূত্রে আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে ফরিদপুর এবং ঢাকায়। বাবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনে চাকরি করেছেন, মা শুধুই গৃহিণী। স্কুল-কলেজে আমি মধ্যম মানের ছাত্র ছিলাম। পড়াশোনার আগ্রহ বাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে। বর্তমানে স্ত্রী এবং ছোট বোন কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলরের শেষ বর্ষে পড়াশোনা করছেন।

জাগো নিউজ: কখন থেকে সফটওয়্যার ও প্রোগ্রামিংয়ে মনোযোগ দিলেন?
আশফাক সালেহীন: আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলাম। ২০১৪ সালে সেখান থেকে বিএসসি সম্পন্ন করি। আমাদের মূল ফোকাস ইলেক্ট্রনিক্স এবং টেলিকমিউনিকেশন হলেও প্রোগ্রামিং, ডাটা স্ট্রাকটার অ্যান্ড অ্যালগারিদমসহ ৩টি কোর্স ছিল। তখন থেকেই ডিপার্টমেন্টের মূল কোর্সগুলোর চেয়ে এ কোর্সগুলোর ওপর আমার বেশি আগ্রহ কাজ করতো। পরে এ বিষয়ক অ্যাডভান্সড কোর্সগুলো আমাদের কারিকুলামে না থাকলেও আমি নিজ উদ্যোগে কিছু বই পড়ে শেষ করি। প্রোগ্রামিং এবং ডিজিটাল ইমেজ প্রসেসিংয়ের সমন্বয়ে কিছু ইন্টারেস্টিং প্রজেক্ট আমি করি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই। এ ছাড়াও ফাইনাল ইয়ারের থিসিসেও আমার প্রোজেক্টটা ছিল প্রোগ্রামিংয়ের সাথে সম্পর্কিতই। কিন্তু এগুলো করাও মেটার মত কোম্পানিতে চাকরি করতে পারার যোগ্যতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট ছিল না। প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং এবং অ্যালগারিদমিক প্রব্লেম সলভিং বিষয়ে আমি জানতাম না, বিধায় এগুলো আমার কখনো করাও হয়নি। এ ছাড়া এসব কোম্পানি সম্পর্কে অথবা চাকরি পাওয়া বা প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছু জানতাম না। তাই তখনো আমার এ নিয়ে কোনো আশাও ছিল না।

জাগো নিউজ: মেটায় চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন?
আশফাক সালেহীন: ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পর আমি প্রায় ৩ বছর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করি। কাজ করতে করতেই অনেক নতুন নতুন প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্ক শিখি। এরপর থাইল্যান্ডের একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে ব্যাংককে আসি। ৩ বছর ব্যাংককের কিছু কোম্পানিতে চাকরি করি। যার মধ্যে এগোডা, ওমিস উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি বিশ্বসেরা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম টপট্যালে ফ্রিল্যান্সিং করি। এখানে উল্লেখ্য, শুধু টপট্যাল থেকে গত আড়াই বছরে আমার আয় ছিল দেড় লাখ ডলার। ২০২১ সালের শুরুর দিক থেকে আমি হঠাৎ অনুধাবন করি, টেকনিক্যাল দুনিয়ায় আপাতদৃষ্টিতে সম্মানজনক অবস্থানে যেতে আমাকে টেক জায়ান্ট কোনো কোম্পানিতে চাকরি পেতে হবে।

jagonews24

অনেকদিন কাজ করার সুবাদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোগ্রামিং টেকনোলজিতে অনেকটাই দখল ছিল। কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের না হওয়ায় ডাটা স্ট্রাকচার, অ্যালগারিদমিক প্রব্লেম সলভিংয়ে আমার জ্ঞান কম ছিল। সে জন্য নিজে পড়াশোনার সময় বের করার জন্য থাইল্যান্ডের ফুল টাইম চাকরি ছেড়ে দিই। চাকরির সময়টা পড়াশোনার কাজে লাগাই। সাথে আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করি টপট্যালে। আমার প্রিপারেশন মেটেরিয়াল ছিল লিটকোড প্রিমিয়াম। যেখানে ৩শর কাছাকাছি অ্যালগারিদমিক সমস্যা সমাধান করি। যেখানে সবগুলো সমস্যা একাধিকবার সমাধান করি। এর মাঝে একাধিকবার গুগল, মেটা এবং অ্যামাজনে ইন্টারভিউ দিই এবং রিজেক্টেড হই। শেষবার ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে মেটার লন্ডন অফিসে ইন্টারভিউ দিই এবং ‘পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার-অ্যান্ড্রয়েড’ রোলে ইফোর লেভেলে অফার পেয়ে যাই। বিষয়টিতে আর্থিক ঝুঁকি এবং ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তা জড়িত ছিল। যেখানে আমার স্ত্রী পূর্ণ মানসিক সমর্থন এবং উৎসাহ জুগিয়েছেন। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

জাগো নিউজ: মেটায় কী ধরনের চাকরির সুযোগ আছে?
আশফাক সালেহীন: মেটায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ব্যাকএন্ড, ফ্রন্টএন্ড, মোবাইল, ডাটা এবং মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চাকরির সুযোগ আছে। মেটার পার্টনার যেমন স্যামসাং, অ্যাপল, কোয়ালকম এদের সাথে কোলাবোরেশন করে স্পেসিফিক টেকনিক্যাল সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আছেন পার্টনার ইঞ্জিনিয়াররা। মেটার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত টেকনিক্যাল সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আছেন বিজনেস ইঞ্জিনিয়াররা। যারা পিএইচডি এবং গবেষণাধর্মী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসেন, তারা রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে চাকরি করেন। বিজনেস রিলেটেড জবও আছে। কিন্তু যারা বাংলাদেশে থেকে অ্যালগারিদমিক প্রব্লেম সলভিংয়ে দক্ষ হয়ে ব্যাচেলরের পর পর অথবা অল্প কয়েক বছর চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান; তারা সাধারণত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার অথবা বিজনেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির সুযোগ পান।

জাগো নিউজ: একজন নতুন গ্র্যাজুয়েট মেটায় চাকরির জন্য আবেদন করবেন কীভাবে?
আশফাক সালেহীন: কয়েকটি উপায় আছে। মেটার জব পোর্টালে গিয়ে চাকরির পোস্টগুলোয় সরাসরি আবেদন করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নজরে পড়া বেশ কঠিন। কারণ পৃথিবী থেকে অসংখ্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এসব চাকরির আবেদন করেন। আর একটি উপায় হচ্ছে লিঙ্কডইনে কোম্পানির টেকনিক্যাল রিক্রুটারদের বিনীতভাবে মেসেজ দেওয়া। তারা যেহেতু অনেক ব্যস্ত এবং ইউরোপ-আমেরিকার নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাদের একটু বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই সব সময় রিপ্লাই পাওয়া যায় না। সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে, বাংলাদেশি যারা মেটা, গুগল অথবা অ্যামাজনে চাকরি করেন, তাদের সুপারিশের জন্য অনুরোধ করা। সুপারিশ এখানে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার একটি শর্টকাট মাত্র। এরপর প্রোগ্রামিংয়ে নিজের যোগ্যতা পুরোপুরি প্রমাণ করেই অফার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সুপারিশ কোনো কাজে আসে না।

জাগো নিউজ: মেটায় চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে যদি বলতেন—
আশফাক সালেহীন: আমার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল রিক্রুটারের সাথে একটা ফোন কল দিয়ে। সেখানে আমি কোথায় থাকি, আগে কী ধরনের কাজ করেছি এবং মেটায় চাকরির বিষয়ে আমি কেন আগ্রহী? এসব বিষয়ে ৩০ মিনিট কথা হয় তার সাথে। এখানে রোলের জন্য আমি কতটা ফিট, সেটার সাথে আমার কমিউনিকেশন দক্ষতা (নির্ভুলভাবে ইংরেজি বলার দক্ষতা) দেখা হয়। এরপর আমাকে বলা হয় একটা ফোন ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে, যা ৪৫ মিনিটের একটা ইন্টারভিউ। এখানে প্রথম ৫ মিনিট সংক্ষিপ্ত পরিচয়ের পর আমাকে ১০ মিনিট ডাটা স্ট্রাকচার এবং অ্যান্ড্রয়েডের ওপর অনেকগুলো মৌখিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। এরপর প্রত্যেকটাতে ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ দিয়ে আমাকে ২টি অ্যালগারিদমিক সমস্যা সমাধান (মিডিয়াম ডিফিকাল্টি) করতে দেওয়া হয়। এরপর এ ইন্টারভিউ শেষ হয়।

পাঁচ দিন পর আমাকে জানানো হয়, আমি এ রাউন্ড সফলভাবে পার করেছি। এরপর আমাকে জানানো হয়, আমাকে গুগল মিটে ৫ রাউন্ডের দিনব্যাপী একটি প্যানেল ইন্টারভিউ দিতে হবে। যেখানে ২টি অ্যালগারিদমিক প্রব্লেম সলভিং রাউন্ড, ১টি সিস্টেম ডিজাইন রাউন্ড, ১টি হায়ারিং ম্যানেজার রাউন্ড এবং ১টি ক্রস টিম ফাংশনাল রাউন্ড পার করতে হবে। প্রত্যেক রাউন্ড ৪৫ মিনিট করে। এ ইন্টারভিউয়ের আগে আমি প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ১ মাস সময় চেয়ে নেই। প্রবলেম সলভিং রাউন্ডগুলো ফোন ইন্টারভিউয়ের মতোই। এগুলোর প্রত্যেকটাতে শুরুতে কিছু মৌখিক প্রশ্ন এবং এরপর ২টি অ্যালগারিদমিক সমস্যা সমাধান করতে দেওয়া হবে।

সিস্টেম ডিজাইন ইন্টারভিউতে কোনো কমপ্লেক্স সিস্টেম হোয়াইট বোর্ডে ডিজাইন করতে দেওয়া হয়। যেমন- ফেসবুক নিউজফিড, উবার, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার ইত্যাদি। এর মাধ্যমে পুরো সিস্টেমের ওপর ক্যান্ডিডেটের জ্ঞানের পরিধি দেখা হয়। এরপর হায়ারিং ম্যানেজার ইন্টারভিউতে আগের অভিজ্ঞতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, টেকনোলজির ওপর আবেদনকারীর আগ্রহ বোঝার জন্য অনেক প্রশ্ন, কেস অ্যানালাইসিস জিজ্ঞেস করা হয়। এরপর শেষ ক্রস টিম ফাংশনাল ইন্টারভিউতে অন্য টিমের অপরিচিত লোকজনের সাথে কাজ করতে পারবো কি না এটা বোঝার জন্য অনেকগুলো কেস স্টাডি এবং প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। এ ইন্টারভিউয়ের পর শুরু হয় অপেক্ষার দিন। ৮ দিন দুশ্চিন্তায়, না খেয়ে, না ঘুমিয়ে অপেক্ষার পর রিক্রুটারের ফোন কল আসে। ‘কনগ্রাচুলেশন, তুমি ইন্টারভিউতে অনেক ভালো করেছো। আমরা তোমাকে জব অফার করতে যাচ্ছি’।

jagonews24

জাগো নিউজ: প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কতটা সময় লাগতে পারে?
আশফাক সালেহীন: পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আমার আড়াই মাস সময় লেগেছে। সবারই ১-৩ মাস সময় লাগে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে।

জাগো নিউজ: যেসব তরুণ মেটায় চাকরি করতে আগ্রহী, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ—
আশফাক সালেহীন: যারা কম্পিউটার সায়েন্স পড়েন, তাদের জন্য বলবো, তারা যেন একাডেমিক যে বিষয়গুলো পড়ানো হয় এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য যেন নোট না পরে বই পড়েন। দেশের মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কোডিং বা কোডফোর্সেসে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নেন। সবশেষে লিটকোডের মতো ওয়েবসাইটগুলোয় অ্যালগারিদমিক সমস্যা সমাধান করেন। যারা কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী না, তাদের ব্যক্তিগতভাবে পড়াশোনা করে এ সমমানের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যেটি তুলনামূলকভাবে বেশ কঠিন। কিন্তু এর কোনো বিকল্প নেই।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আশফাক সালেহীন: আমার মূল আগ্রহ গবেষণাধর্মী এবং উদ্ভাবনী প্রোগ্রামিংয়ে। আগামী কয়েক বছর আমি প্রচুর পড়াশোনা করবো। কিছু একাডেমিক ও চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইমে এবং অনেকটাই ব্যক্তিগতভাবে। এর অংশ হিসেবে আমি নিজের একটা উদ্ভাবনী সফটওয়্যার অথবা টেকনিক্যাল প্রোডাক্ট তৈরি করতে চাই। এরপর তার ওপর ভিত্তি করে আমি দেশে ফিরে একটি আন্তর্জাতিক মানের টেকনিক্যাল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যার মাধ্যমে দেশের অনেক মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারের আন্তর্জাতিক মানের উদ্ভাবনী কাজ সম্পন্ন করে ভালো মানের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারি। দেশের উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি। মেটার চাকরির মাধ্যমে আমি যে আন্তর্জাতিক পরিচিতি পাবো, তা আমাকে এই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন