কর্মক্ষেত্রে বসের মন জয় করার কৌশল
যতই কাজ করুন না কেন, বসের মন জয় করা অতটা সহজ কাজ নয়। সবাই চায় বসকে কাজের মাধ্যমে খুশি রাখতে। এজন্য কাজের অনেক ধকলও পোহাতে হয়।
কাজের পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করেও জয় করা যায় বসের মন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বসের মন রাক্ষার কিছু কৌশল-
>> কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দিলে বসের কাছ থেকে ডেডলাইন ভালো করে জেনে নিন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন করুন। কাজটি করতে না পারলে অথবা কোনো সমস্যা হলে বসকে জানান।
>> বসের কাছ থেকে ভালো করে কাজ বুঝে নিন। খুটিনাটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন তার কাছ থেকে। অন্য কারও ভরসায় থাকবেন না।
>> ডেডলাইনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে না পারলে বসকে জানান। অযথা কোনো রিপোর্ট দীর্ঘ করবেন না। তথ্যবহুল রিপোর্ট তৈরি করুন।
>> কাজ দিয়ে বসের মন জয় করার চেষ্টা করুন। কীভাবে রিপোর্ট করলে বস পছন্দ করেন; সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
>> বস ইজ অলওয়েজ রাইট। এটা বিশ্বাস করতে হবে। বস আপনার চেয়ে বেশি জানেন এবং বোঝেন। তাই তথ্য-প্রমাণ ও যুক্তসহ আপনার মতামত পেশ করুন।
>> সহকর্মীদের কাছে বসের নিন্দা করা পরিহার করুন। যার কাছে আপনি নিন্দা করছেন সেই বসকে বলে দিতে পারে। তখন আপনার অবস্থা কী হবে একটু ভেবে দেখবেন?
>> বসের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হলো কাজে ফাঁকি না দেওয়া ও সময় মতো অফিসে প্রবেশ করা।
>> কাজে যতটা নতুনত্ব আনবেন বস ততই খুশি হবেন।
>> বসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। এতে বস খুশি থাকবেন। আপনার প্রতি তার আস্থা বাড়বে।
>> অযথা মিথ্যা বলে ছুটি নেওয়ার কৌশল এড়িয়ে চলুন। অফিস যেন কোনোভাবেই বুঝতে না পারে আপনি কখনো মিথ্যা বলে ছুটি নিয়েছেন।
>> অতিরিক্ত কাজ থাকলেও শান্ত থাকুন। হাসিমুখে বসের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার সক্ষমতা প্রমাণ করুন।
>> বসের জন্মদিনে তাকে সবার আগে শুভেচ্ছা জানান। সুন্দর একটি গিফট দিন।
>> মনে রাখবেন, আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে একসময় বস তা জানতে পারবেন। এজন্য নিজের সম্পর্কে যতই ঢোল পেটান না কেন তা গ্রহণযোগ্য হবে না কর্মক্ষেত্রে।
জেএমএস/জিকেএস