চামড়াজাত পণ্যে রুচির পরিবর্তন আনতে চান আরিয়ান
আরিয়ান আহমেদের বাড়ি নাটোর শহরে। তিনি স্বপ্ন দেখে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা যাত্রায়। বর্তমানে এসএসবি লেদারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার ক্যারিয়ার ও সফলতা নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার–
ছোটবেলার কথা বলুন–
আরিয়ান আহমেদ: রাজধানীর ওয়ারীতে স্কুলে পড়ার সময় খেলাধুলা খুব পছন্দ করতাম। তারই ধারাবাহিকতায় খেলাধুলাকে প্রায় পেশা হিসেবে নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা করে ফেলছিলাম আর্চারীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
তার পরের গল্পটি শুনতে চাই–
আরিয়ান আহমেদ: অনেকটা কাকতালীয়ভাবে আর্চারীতে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনালে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করি। এমনকি বিকেএসপিতে সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশ নেই। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় সিলভার পদক অর্জন করি। আর্চারী হান্টিংয়ের মাধ্যমে আমাকে এনেছেন ভারতীয় কোচ নিশিত দাস। তারুণ্যের শুরুতেই অনেক অভিজ্ঞতামূখর জীবন কেটেছে আমার।
শুনেছি প্রথম জীবনে চাকরি করেছেন কয়েক বছর–
আরিয়ান আহমেদ: গ্রামীণফোন ও নেসলে বাংলাদেশের মাধ্যমে আমার চাকরি জীবনের শুভ সূচনা হয়েছিল। চাকরিরত অবস্থায় যে অভিজ্ঞতা অর্জন করি, তা থেকেই আজকের এ অবস্থানে আসার অনুপ্রেরণা পাই। বাংলা শপার্স ডটকম নামে একটি ই-কমার্সেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি।
উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটি যদি একটু বলতেন–
আরিয়ান আহমেদ: চাকরিরত অবস্থায়ই আমি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আর এভাবেই ২০১৬ সালে ঢাকার মানিকনগর এলাকায় একটি শো-রুম (শেভার শপ বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের ট্রিমার সারাদেশে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। আমি উদ্যোক্তা হবো- এ কথায় আমার পরিবার খুশি হয়নি।
আপনি লেদার ইন্ড্রাস্টিতে আসার কী কী কারণ ছিল?
আরিয়ান আহমেদ: বিষয়টি একটু মজার। আমি ভারতের কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে দেখি, মানুষের হাতে শ্রী লেদারের চামড়াজাত পণ্য। বিষয়টিতে ভীষণ অবাক হই এবং ভাবি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এবং রুচিসম্মত চামড়াজাত পণ্য তৈরি করার মতো ব্র্যান্ড আমাদের দেশে নেই কেন?
পরবর্তীতে আমি প্রচুর ফ্যাক্টরিতে ঘুরতে যাই। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলি। এ শিল্প সম্পর্কে দেশ-বিদেশে গিয়ে বুঝতে ও জানতে চেষ্টা করি। সর্বশেষ জুলাইতে ইভ্যালির একটি অফারে আমাদের নাম সারাদেশে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব শাখায় আমরা দক্ষতা রেখেছি। আশা করি, বাংলাদেশে একটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি হোক ‘এসএসবি লেদার’।
লেদার নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আরিয়ান আহমেদ: সব বিভাগীয় শহরে আমাদের শো-রুম স্থাপনসহ বিদেশেও এক্সপোর্ট করতে চাই। বর্তমানে ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীতে একটি মডার্ন শো-রুম এবং মানিকনগরে শো-রুম আছে। আমি চাই, রুচির পরিবর্তন ঘটাবে চামড়াজাত পণ্য।
এসইউ/এমএস