চাকরিতে মানিয়ে নিতে যেসব গুণ দরকার
করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা দিন দিন বাড়ছে। তাই কর্মী ছাঁটাই বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো খবরেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং এমন পরিস্থিতিতে নিজের চাকরিটা টিকিয়ে রাখার কথাই ভাবতে হবে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে পাল্টে যেতে পারে কাজের ধরন। তাই নতুন সেই কর্মযজ্ঞে মানিয়ে নিতে হলে কিছু গুণাবলী খুবই জরুরি।
মানিয়ে নেওয়া: লকডাউন শেষে অনেক অফিসে কাজের সময় আর পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। কিছু কাজের পরিবর্তে নতুন ধরনের কাজ করতে হবে। এ ধরনের পরিবর্তন মেনে নিতে হবে। এমনকি এসব নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই টিকে থাকতে পারবেন।
প্রযুক্তিতে দক্ষ: বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনেক কাজ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। অনেক কাজ ভবিষ্যতেও অটোমেটেড হয়ে যাবে। আবার প্রযুক্তিরও বদল ঘটবে, নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ হবে। সেসব প্রযুক্তি চটপট শিখে নিতে হবে। না পারলে চাকরির বাজারে নিজেকে আনফিট ভাবতে হবে। ফলে এখন থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে।
নতুন দক্ষতা: নির্দিষ্ট একটি কাজের জন্য চাকরিতে টিকে থাকা মুশকিল হবে। ফলে আপনি যদি একাই বিভিন্ন রকমের কাজ খুব ভালোভাবে করতে পারেন, তাহলে আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে আগ্রহী হবে কোম্পানি। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠানের চোখে আপনার গুরুত্বও বাড়বে। তাই নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মন দিন। তাতে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়বে।
সৃজনশীল হোন: প্রতিষ্ঠান যতই প্রযুক্তি নির্ভর হোক না কেন, আইডিয়াটা কিন্তু মানুষের মাথা থেকেই আসতে হবে। তাই মনে রাখবেন, সৃজনশীলতা ও অভিনব ভাবনা কখনোই পুরোনো হয় না। নতুন আইডিয়া সব সময়ই চিরন্তন। তাই আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা থাকে, তাহলে সেই গুণটা দেখিয়ে দিন।
বিশ্লেষণ করুন: সৃজনশীলতার পাশাপাশি বিশ্লেষণী ক্ষমতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগের অনেক ধারণা বদলে নতুন ধারণা বা পদ্ধতির উপযুক্ততা বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতা, নিরপেক্ষ ও যুক্তিসঙ্গত ভাবনার ক্ষমতা- এসবই এখন জরুরি।
নেতৃত্বের ক্ষমতা: আপনার মধ্যে যদি নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তাহলে লকডাউন পরবর্তী প্রতিযোগিতামূলক কর্মজগতে এটি অত্যন্ত জরুরি গুণ। এ গুণ ভালোভাবে চর্চা করুন। তবেই সফলতা কখনো হাতছাড়া হবে না।
এসইউ/জেআইএম