পদোন্নতিতে বাধা, বস নয় দায়ী সহকর্মীরা
কর্মস্থলে সবারই কমবেশি সমস্যা থাকে। প্রতিদিন সবাই বিভিন্ন অভিযোগ করেন। কাজের চেয়ে বেশি চাপে থাকতে হয় নানা কারণে। বিশেষ বিশেষ কারণে পদোন্নতিতেও বাধা আসে। তবে এর জন্য পুরোপুরি বসকেও দোষারোপ করা যায় না। নিজের সহকর্মীরাও বিশেষত দায়ী।
জেনে রাখা ভালো, কর্মস্থলে কেউ কারো বন্ধু হয় না। নিজের পদমর্যাদা বাড়াতে অন্যের পেছনেও লেগে থাকেন অনেকেই। কারণ কর্মস্থল এমন এক জায়গা, যেখানে কেউই অপরের ভালো চায় না। কিভাবে অন্যকে বিরক্ত করা যায়, ক্ষেপিয়ে দেওয়া যায়- সেসবই ভাবতে থাকেন। নিজের ক্যারিয়ারের জন্য মানুষ সবই করতে পারে। ফলে কর্মক্ষেত্রে কী মনোভাব নিয়ে চলবেন, তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।
> আরও পড়ুন- বায়োডাটায় যে তথ্যগুলো উল্লেখ করবেন না
বিজ্ঞানের ভাষায়, কর্মক্ষেত্রে রাগী বসের চেয়ে সহকর্মীদের সাথে খারাপ সম্পর্ক হলে বেশি মানসিক চাপে ভুগতে হয়। সম্প্রতি ২৫-৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, মানুষের মৃত্যুঝুঁকির জন্য কর্মঘণ্টা বা রাগী বস দায়ী নয়, বরং সহকর্মীরাই দায়ী।
গবেষকরা বলেন, যাদের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সমর্থন বেশি তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম। এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ছিলেন নারী। নারীরাই নানাভাবে বসের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। পুরুষ সহকর্মীদের ওপর যাবতীয় রাগের প্রতিশোধ নিতে নারীরা বসকেই হাতিয়ার বানান। যদিও তা সবক্ষেত্রে সমান না-ও হতে পারে।
> আরও পড়ুন- বিদেশে চাকরি পাবেন যেভাবে
সুতরাং আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে থাকেন, তা আপনার সহকর্মীদের কারণে। যারা আপনার পেছনে কথা বলে। যাদের সঙ্গে আপনার মতের মিল নেই। শুধু শুধু বসকে দোষী করে কোন লাভ নেই।
এসইউ/পিআর