প্রাণ ইউএইচটি মিল্ক ক্যাম্প এক্সে লেখক আনিসুল হক
গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদনমূলক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনেক। পাঠ্যপুস্তকের পড়াশোনা ছাড়াও বাহ্যিক জ্ঞান প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য জরুরি। তাই শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশ ও সুপ্ত প্রতিভা জাগাতে নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
সেই লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রাণ ইউএইচটি মিল্ক আয়োজন করেছে ‘ক্যাম্প এক্স’ কর্মসূচির। রাজধানীর ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গ্রিনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে উপস্থিত ছিলেন এ সময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি ক্যাম্প এক্সে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্যক্ত করেছেন তাঁর অনুভূতি।
স্কুল ক্যাম্পার রিক্রুটমেন্টের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন তিনি। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর আনিসুল হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাহিত্য বিষয়ক কয়েকটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার তুলে দেন। আর ভুল উত্তরের জন্য দেন মধুর শাস্তি। শাস্তিস্বরূপ সবাইকে দাঁড়িয়ে সাওতালদের ঢঙে নাচতে হয়।
> আরও পড়ুন- উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার গল্প নিয়ে উদ্যোক্তা কথন
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের স্কুলে কি বাংলা বই পাঠ্য নেই? পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সাহিত্যও পড়তে হবে। তোমাদের মধ্যে সাহিত্য নিয়ে কোন উৎসাহ নেই।’
এরপর তিনি খেলাধুলা প্রসঙ্গে আসেন। তখন সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মুর্তজার ডাকনাম জানতে চান। এছাড়াও আন্তর্জাতিক খেলাধুলা নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেন।
খেলাধুলার প্রসঙ্গ শেষে মহান ভাষা আন্দোলন, বিজয় দিবস সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে তিনি কিশোর-কিশোরদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জিপিএ ৫ পেয়ে কোন লাভ নেই; যদি বাইরের বই না পড়, সংস্কৃতিচর্চা না কর। নিজের দেশ সম্পর্কে না জানলে বিদেশ সম্পর্কেও জানা সম্ভব নয়। তাই পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়তে হবে।’
> আরও পড়ুন- ছোট আবিষ্কারও জীবন পাল্টে দিতে পারে
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গ্রিনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার ভার্জিনিয়া আশা গমেজ প্রমুখ।
সবশেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা যাচাই করা হয়। ক্যাম্প এক্সের কর্মীরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করেন।
আয়োজকরা বলেন, ‘শহুরে জীবনের নানা আধুনিকায়ন এবং সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের সন্তানেরা বঞ্ছিত হচ্ছে জীবনের প্রয়োজনীয় নানা বিষয় থেকে। স্কুল আর ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মধ্যে আটকে গেছে তাদের জীবন। এছাড়াও কিশোর বয়সের পরিবর্তন প্রভাব ফেলে তাদের ভবিষ্যতে। এসব কথা মাথায় রেখেই আমরা ক্যাম্পটি করার পরিকল্পনা করেছি।’
প্রাণ ইউএইচটি মিল্ক আয়োজিত ক্যাম্প এক্সের সংবাদ সহযোগী হিসেবে রয়েছে কিশোর আলো। অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে জাগোনিউজ২৪.কম। এফএম পার্টনার হিসেবে রয়েছে জাগো এফএম।
এসইউ/জেআইএম