সফলতার জন্য পাঁচ অভ্যাস
‘মানুষ অভ্যাসের দাস’- কথাটি বহুল প্রচলিত। ভালো অভ্যাস মানুষকে সফল করে তোলে। মন্দ অভ্যাস জীবনে নিয়ে আসে হতাশা। জীবনের কিছু অভ্যাস মানুষকে সফলতা এনে দেয়। তেমন পাঁচটি অভ্যাস নিয়েই এবারের আয়োজন।
সুযোগের অপেক্ষা
ধরুন বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে- বের হতে পারছেন না। কিংবা ট্রেন দেরি করছে- আপনি অস্বস্তি বোধ করছেন। এটা আপনার জন্য বড় একটা সুযোগ, একটা ভালো মানের বই পড়ার। দু’শ্রেণির মানুষ আছেন; সক্রিয় আর নিস্ক্রীয়। অবস্থা পুরোপুরি উপযোগী হলে তবেই নিস্ক্রীয় ব্যক্তি কাজে হাত দেন। সক্রিয় ব্যক্তি প্রতিকূল পরিবেশে কাজ শুরু করে কাজের মাধ্যমে পরিস্থিতি অনুকূলে আনেন। প্রতিকূল পরিবেশে কাজ শুরু করেন বিধায় দশ ভাগ পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পারাটাই তার সফলতা।
আচার-ব্যবহার
শূন্য পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করেছিলেন আমেরিকার সোলপক। এখন শিকাগোয় কোটি কোটি ডলারের সরঞ্জাম বিক্রির ব্যবসা করেন। তিনি বলতেন, ‘খদ্দেরের সঙ্গে আমার ব্যবহারই আমার ক্যাপিটাল। আমি তাদের প্রত্যেকের সাথে অতিথির মতো ব্যবহার করি।’
রাজার মতো আচরণ
গরিব হওয়াতে আপনার কোনো হাত নেই। কিন্তু গরিব হয়ে থাকাটা আপনার অপরাধ। গরিব হলেও মনটা সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলুন। সেটা সম্পূর্ণই আপনার হাতে। মনের দিক থেকে ধনি হতে পারেন যে কেউ। সে জন্য দরিদ্রকে মনের ভেতর থেকে তাড়াতে হবে সবার আগে। রাজার মতো আচরণ করুন। তবে রাজার মতো বিলাসিতা করতে যাবেন না।
পরাজিত ভাববেন না
জেতার মতো হারার জন্যও প্রস্তুত থাকুন। হেরে যাওয়া মানে আবার কোনো বড় যুদ্ধের হাতছানি। পরাজিত মানসিকতা, বিপর্যস্ত মানসিকতার চেয়েও ক্ষতিকর। সাফল্য ও ব্যর্থতা পাশাপাশি চলে। মিল্টন অন্ধ হওয়ার পর মহাকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’ লেখেন। পরিকল্পনা বহির্ভূত জীবন যাপন করবেন না। আগামী বছর কী করবেন এ বছর পরিকল্পনা করুন। আগামী মাসের পরিকল্পনা এ মাসে করুন। আজ রাতে ঘুমানোর আগেই সেরে ফেলুন আগামীকালের পরিকল্পনা।
পরনির্ভরশীলতা নয়
যুদ্ধে সৈনিকদের মনোবল বাড়ানোর উপায় হলো- তাদের জাহাজে আগুন ধরিয়ে দেওয়া। তখন তাদের যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা থাকে না। ঠিক তেমনি যতক্ষণ সন্তানরা জানবে তাদের পেছনে বিত্তশালী বাবা আছেন; ততদিন তারা স্বাবলম্বী হবে না। তাই পরনির্ভরশীলতা নয়, আত্মনির্ভশীল হতে চেষ্টা করুন।
এসইউ/এমএস