ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফুচকা বেচে ৪০ লাখ রুপি লেনদেন যুবকের, পেলেন আয়কর নোটিশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫

ফুচকা ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই আছে। শীত কিংবা বর্ষাকাল, বছরের যেকোনো সময় টকজল দিয়ে ঝাল ঝাল ফুচকা খেতে রীতিমত লাইনে পড়ে যায়। আর তাই তো ভারতের তামিলনাড়ুতে ফুচকা বিক্রি করেই ৪০ লাখ রুপির বেশি অর্থ লেনদেনের কীর্তি গড়েছেন এক ব্যবসায়ী। সেজন্য তাকে নোটিশও পাঠিয়েছে ভারতীয় আয়কর বিভাগ (জিএসটি)।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তামিলনাড়ুর ওই যুবক ফুচকা বেচে আয় করেছেন ৪০ লাখ রুপি। অনলাইনে ইউপিআই পেমেন্টে তার এই লেনদেনের হিসাব নজরে পড়তেই প্রশাসনের চোখ কপালে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নোটিস পাঠায় জিএসটি কর্তৃপক্ষ। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যবসায়ীর বার্ষিক আয় ৪০ লাখ টাকা বা তার বেশি হলে বাধ্যতামূলকভাবে জিএসটি নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

তরুণ এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এর জেরে গত মাসের ১৭ তারিখ একটি নোটিশ পাঠানো হয় ওই ফুচকাওয়ালাকে। তামিলনাড়ু গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স অ্যাক্ট এবং সেন্ট্রাল জিএসটি অ্যাক্টের ৭০ ধারায় তার বিরুদ্ধে সমনও জারি করা হয়।

তার কাছে গত ৩ বছরের লেনদেনের হিসাবে চাওয়া হয়েছে। আয় সম্পর্কিত সমস্ত নথি ও ব্যাঙ্কের কাগজপত্র নিয়ে তাকে শরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিসে। আর এই নোটিসের ছবিই এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অনেকেই এই নির্দেশিকার ছবি পোস্ট দিয়ে নানারকম মন্তব্য করছেন।

টুইটার ব্যবহারকারীদের একজন লিখেছেন, তার আয় একজন বিজ্ঞানের অধ্যাপকের চেয়েওে বেশি। আবার তাকে আয়করও দিতে হয় না, কিন্তু অধ্যাপককে আয়কর দিতে হয়। আরেকজন লেখেন, এভাবে আয়কর ফাঁকি দিয়ে বহু মানুষ এদেশে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। আরেকজনের দাবি, লেনদেন ৪০ লাখ রুপির হলে কী হবে, আয় আরও অনেক বেশি। কারণ ফুচকা খেয়ে সাধারণত মানুষ টাকা ক্যাশে দেন।

অনেকে আবার ফুচকাওয়ালার পক্ষে কথা বলেন। একজনের দাবি, আজকাল অনেকেই অনলাইনে টাকা দিয়ে ক্যাশ চেয়ে নেন। সেক্ষেত্রে নিট আয় হিসেবে লেনদেনকে ধরা যায় না। আরেকজন বলেন, লেনদেন মানেই আয় নয়, তার আসল আয় কতো সেটা দেখা জরুরি।

সূত্র: দ্য ওয়াল

এসএএইচ