জার্মানি
উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন
জার্মানিতে নতুন বছর উদযাপনের সময় আতশবাজি দুর্ঘটনায় অনেকে আহত এবং অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। দেশটিতে ব্যক্তি পর্যায়ে আতশবাজি পোড়ানো বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আবেদন করেছেন ২৭ হাজারের বেশি মানুষ।
এক অনলাইন পিটিশনের মাধ্যমে তারা এই আবেদন জানান। পিটিশনের আয়োজন করে জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন>>
- জার্মানিতে আতশবাজির বিশৃঙ্খলায় নিহত ৫, আহত বহু সেবাকর্মী
- জার্মানিতে গাড়ি হামলায় নিহত ২, সৌদি নাগরিক গ্রেফতার
- জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়িচাপায় নিহত বেড়ে ৫
জার্মানিতে থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি পোড়ানোর সময় দুর্ঘটনায় অনেকে আহত এবং অন্তত পাঁচজন নিহত হন। বেশ কিছু শহরে জরুরি সহায়তাকারী দলের ওপর পাথর নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। তবে বিষয়টি যে এবারই প্রথম ঘটেছে, তা নয়। পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় রাজধানী বার্লিনের এক কর্মকর্তা আহত হন, যার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।
রাজনীতিবিদদের মতবিরোধ
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার দমকল কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, বিষয়টি পরিষ্কার যে, নতুন নিয়ম দরকার। তিনি বলেন, উদযাপনের জন্য কোন ধরনের আড়ম্বর করা যেতে পারে সে বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার নিয়ম থাকতে হবে এবং যারা নিয়ম মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিই সঠিক পথ।
তবে আতশবাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান। তিনি বলেন, পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যথাযথ হবে না। তাহলে এটি সামগ্রিক পর্যায়ের শাস্তি হয়ে উঠবে।
বার্লিনের মেয়র কাই ভেঙ্গার বলেছেন, এ বিষয়ে নতুন নিয়ম প্রয়োজন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেন। মেয়র বলেন, বার্লিনের বেশিরভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নতুন বছর উদযাপন করেছে। আমরা কেন তাদের এবং তাদের পরিবারগুলোকে নতুন বছরের আনন্দময় ঐতিহ্যবাহী আতশবাজি থেকে বিরত রাখবো?
নিষেধাজ্ঞা চায় পুলিশ
নতুন বছরের আগেই জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন জিডিপি এবং জার্মান মেডিকেল ইউনিয়ন ব্যক্তিগত পর্যায়ের আতশবাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছিল। অনলাইন পিটিশনটি শুরু করা পুলিশ ইউনিয়নের যুক্তি, পুলিশ এবং জরুরি সহায়তাকারীদের ওপর সহিংসতা ঠেকাতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে, ব্যক্তি পর্যায়ে না করে এমন আয়োজন শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্যও নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন বলে মত তাদের।
ইউনিয়ন পক্ষ থেকে বলা হয়, সবশেষ আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
কেএএ/