ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করতে বিএসএফ অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে, দাবি মমতার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিএসএফ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগটি এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে খবর আছে, ইসলামপুর, চোপড়া, সিতাই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছে। তারা নারীদের ওপর নির্যাতন করছে। কিন্তু আপনাদের (কেন্দ্র) দিক থেকে কোনো প্রতিবাদ হয় না কেন?

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন মমতা ব্যানার্জী।

আরও পড়ুন>>

সীমান্তের দুই পাড়ে শান্তিরক্ষার আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই ওখানেও (বাংলাদেশে) শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক। দুই বাংলার মধ্যে আমাদের খারাপ সম্পর্ক নেই। দুই বাংলায় এক ভাষায় কথা বলি, এক ভাষায় পথ চলি। চিকিৎসার কারণে কেউ কলকাতায় আসতেই পারে, মানবিক কারণেও কেউ এখানে আসতে পারে।

এসময় মোদি সরকারকে নিশানা করে মমতা অভিযোগ করেন, আসলে এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে লোক ঢোকানো হচ্ছে। এটি বিএসএফের অনেক ভেতরের কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা নীলনকশা আছে। আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, পররাষ্ট্রনীতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাতে আমাদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু আমি যদি দেখি, আমার রাজ্যকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি হামলায় কেউ মদত দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে।

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া চিঠি দেবেন বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। তার বক্তব্য, কেউ হয়তো মনে করে, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করবে। কিন্তু আমি বলবো, এটি তৃণমূল কংগ্রেস করছে না। কারণ তাদের সেই অধিকার বা সাধ্য কোনোটাই নেই। সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব তৃণমূলের হাতে নয়, সেটি বিএসএফ করে। আমার পুরো তথ্য চাই। এ নিয়ে আমি কেন্দ্রকে একটা কড়া চিঠি লিখবো।

এসময় পাশে বসে থাকা রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, কোন কোন জায়গা দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে, এগুলো চিহ্নিত করুন। সীমান্ত রক্ষা আমাদের হাতে নয়, এটি বিএসএফের হাতে। ভিসাও আমাদের হাতে নেই, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আগে যারা প্লেনে আসতো, তাদের একটা তালিকা রাজ্যকে দিতো। কিন্তু এখন তা দেওয়া হয় না। এর কারণে আমরা জানতে পারি না কারা কারা আসছে?

ডিডি/কেএএ/