দেশে দেশে নতুন বছর উদ্যাপনের প্রস্ততি
আর কয়েকঘণ্টা পার হলেই শুরু হবে ইংরেজি নববর্ষ। নতুন বছরকে বরণ করতে দেশে দেশে চলছে প্রস্তুতি। জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বিশ্ববাসী। ২০২৫ সাল যেন শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে এই কামনা বিশ্ববাসীর।
জানা গেছে, সবচেয়ে বড় আকারে নববর্ষ উদ্যাপন করতে চলেছে ব্রাজিল। দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকত কর্তৃপক্ষ। ২৫ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভৌগোলিক কারণে সবার আগে নতুন বছরকে বরণ করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন:
- আতশবাজির ঝলকানি-শব্দে প্রাণ হারায় শত শত পশুপাখি
- ২০২৪ সালে নারীদের যত গিনেস রেকর্ড
- আবার দেখা যদি হলো, প্রাণের মাঝে আয়
নববর্ষ উদযাপনে বর্ণিল সাজে সেজেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার। সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগমের আশা করছে কর্তৃপক্ষ। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূলে আছে বলে নিশ্চিত করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
রিও ডি জেনিরোর মেয়র এডুয়ার্দো পেস রয়টার্সকে বলেন, নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সৈকতে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল গার্ডও আমাদের সহায়তা করবে। উৎসবের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাসিন্দারা যেন মনের আনন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পারে।
আরও পড়ুন:
জার্মানির বার্লিনেও চলছে নববর্ষ উদ্যাপনের প্রস্তুতি। নিরাপত্তা জোরদারে শহরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ৫ হাজার পুলিশ।
চীনের বেইজিংয়ে নববর্ষ উপলক্ষে ফ্যাশন ও প্রযুক্তির থিমযুক্ত এক হাজারের বেশি লন্ঠন জ্বালানো হয়েছে। একে বছরের সবচেয়ে বড় লন্ঠন উৎসব বলা হচ্ছে। ব্যবসায়ে সমৃদ্ধি লাভের আশায় এমন আয়োজন।
এদিকে, নতুন বছরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বিশ্বজুড়ে সমতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
এসএএইচ