কৃষক বিদ্রোহে অচল ভারতের পাঞ্জাব, ২০০ ট্রেন বাতিল
দাবি মানেনি কেন্দ্র। এমনকি, আলোচনাতেও বসেনি। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাই পাঞ্জাবে অবরোধ ডেকেছিলেন কৃষকরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সেই অবরোধের প্রভাব পড়লো রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায়। এমনকি, কৃষকদের বিক্ষোভের কারণে ২২১টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অবরুদ্ধ রাস্তাঘাটও।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) ও কিসান মজদুর মোর্চার ডাকে আবার পথে নেমেছেন কৃষকেরা। ওই দুই সংগঠন আগেই জানিয়েছিল, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা অবরোধ পালন করবে। চিকিৎসাসহ জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকেই পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন কৃষকরা। জলন্ধর-দিল্লি জাতীয় সড়ক, অমৃতসার-দিল্লি হাইওয়ের উপর বসে পড়েছেন তারা। ফলে এসব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। মোহালিতে বিমানবন্দর যাওয়ার পথও অবরোধ করে রেখেছেন কৃষকরা।
কৃষকদের কর্মসূচির কারণে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সজাগ নজর রেখেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোহালিতে ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পন্ধের বলেন, অবরোধের সময় শুধু জরুরি পরিষেবায় ছাড় থাকবে। কেউ যদি বিমানবন্দরে যান, কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে বা বিশেষ প্রয়োজন থাকে, তাদের আটকানো হবে না।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মওকুফ, পেনশনের ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের বিল না বাড়ানোসহ ১৩ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়ালে। আজ তার অনশন ৩৪ দিনে পড়েছে। জানা গেছে, ডাল্লেওয়ালের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। আর তাই তার পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আজ থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন কৃষকরা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি সংলগ্ন পাঞ্জাব, হরিয়ানার শম্ভু ও খানাউড়ি সীমানায় অবস্থান নিয়েছেন কৃষকরা। তবে ২৬ নভেম্বর জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশন শুরু করার পর আন্দোলন নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এর আগে কৃষকরা ‘রেল রোকো’ কর্মসূচিও নিয়েছিলেন।
কৃষক নেতা অভিমন্যু কোহার বলেন, আমাদের দাবিগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট। তা সত্ত্বেও আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্র নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কৃষকদের কোনো দাবিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে
এসএএইচ