ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দ. কোরিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে যে, প্রায় সব ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে।

দেশটির একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২৪ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর প্লেনটি থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্লেনটিতে দুর্ঘটনার সময় ১৮১ জন আরোহী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুজন ছাড়া বাকি সবাই নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল।

এক বিবৃতিতে জাতীয় দমকল সংস্থা জানিয়েছে, দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ১২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।

ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক প্লেন দুর্ঘটনা। এর আগে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। সে সময় এয়ার চায়নার একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১২৯ জন নিহত হয়।

যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। এক দমকল কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। প্লেনটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এটি রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।

ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক যাত্রী ও এক ফ্লাইট সহকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

মাঝারি আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে। ওই প্লেনটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি।
তবে পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।

টিটিএন