কোন পথে সিরিয়া?
সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। ফলে কয়েক দশক ধরে চলা আসাদ পরিবারের নৃশংস শাসনের অবসান ঘটেছে। তবে এখন দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিদ্রোহী এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেয়ার পেডারসন সিরিয়ার সব গোষ্ঠীর মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এইচটিএস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত চলমান সমস্যাগুলোর কথাও উল্লেখ করেছেন জোলানি। পরিস্থিতি যে গতিতে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে করে আগে থেকেই সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনুমান করা বেশ কঠিন। তবে বিবিসির সঙ্গে কথা বলা কয়েকজন বিশ্লেষক দেশটির ভবিষ্যতের সম্ভাব্য তিনটি দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন।
ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া
আসাদ সরকারের পতনের পর সবচেয়ে ভালো যে বিষয়টি ঘটতে পারে তা হলো দায়িত্বশীলভাবে দেশ শাসনের জন্য এইচটিএস অন্য বেসামরিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোকে তাদের সঙ্গে কাজ করতে দেবে। সেক্ষেত্রে প্রতিশোধ এবং লুটতরাজের চক্রে পড়ে প্রতিবেশী দেশগুলো যে নতুন সংঘাতের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল তা এড়িয়ে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা জাতীয় মীমাংসার পথ তৈরি করতে পারে।
এখন পর্যন্ত জোলানি সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সম্মানের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সিরিয়ার অনেকগুলো গোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন এজেন্ডা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার ফিলিপস বলেন, বাস্তবে আমরা এমন এক অনিশ্চিত জায়গায় আছি যেখানে এইচটিএস একটি কার্যকর ও শান্তিপূর্ণ পালাবদলের চেষ্টা করছে। কিন্তু পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল।
দক্ষিণের যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কখনও আসাদ পরিবারের কর্তৃত্বকে স্বীকার করেনি তারা নতুন দামেস্ক সরকারকে মানবে বলেও মনে হয় না। পূর্বদিকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের একটি অংশ এখনও হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে, যার ফলে মার্কিন বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি-নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলো দেশের উত্তর-পূর্ব অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এরা সিরিয়ার উত্তরের তুরস্ক-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর সম্প্রতি এই এলাকায় নতুন সংঘাত দেখা দিয়েছে।
২০১১ সালের পর থেকে সিরিয়ার বাইরে অনেক বিরোধী গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক ব্লক গঠিত হয়েছে। তারাও দেশে ফিরে রাজনৈতিক পালাবদলের অংশ হবে কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সুইজারল্যান্ডের লউজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সিরিয়া আফটার দ্য আপরাইজিংস বইয়ের লেখক জোসেফ দাহের বলেন, একটি ঐক্যবদ্ধ সরকারের সম্ভাবনা অনিশ্চিত।
তিনি বলেন, সবচেয়ে ভালো কিছু ঘটলে সেখানে স্বাধীন নির্বাচন, ক্ষমতা ভাগাভাগি এবং বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া আরও ঐক্যবদ্ধ শক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে তা হওয়া এখনও বাকি। দাহেরসহ অন্যান্য বিশ্লেষকরা মনে করেন জনসম্মুখে জোলানির দেওয়া প্রথম ভাষণে অসঙ্গতি ছিল।
তিনি বলেন, আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হস্তান্তর প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন শুরুতে এমনটা বলা হলেও পরে এইচটিএস থেকেই প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয়। তবে দাহের মনে করেন ‘ক্ষমতা সুসংহত করার ইচ্ছা’ থাকা সত্ত্বেও এইচটিএসের পক্ষে পুরো দেশকে এককভাবে পরিচালনা করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় না তা সম্ভব হবে। কারণ ইতোমধ্যেই তারা তাদের ক্ষমতা সম্প্রসারণ করছে। এটা সামাল দেওয়া খুব কঠিন। শুরুতে তারা কেবল ইদলিব চালাচ্ছিল। এখন তারা আলেপ্পো, হামা, হোমস এবং রাজধানী দামেস্ক পরিচালনা করছে। সুতরাং এই এলাকায় ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রয়োজন হবে।
এইচটিএসের স্বৈরাচারী ও একক নিয়ন্ত্রণ
আসাদ শাসনের মতো করেই স্বৈরাচারী উপায়ে এইচটিএসও ক্ষমতাকে একীভূত করবে এমন আশঙ্কাও আছে। জোলানি ইতোমধ্যেই ইদলিবে তার শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরি করেছে, যা একসময় উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী ঘাঁটি এবং অন্যান্য সিরিয়ান প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪০ লাখ মানুষের আবাসস্থল ছিল।
এইচটিএসের অধীনে ন্যাশনাল স্যালভেশন গভর্নমেন্ট ইদলিবের বেসামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেখানে শরিয়া আইন অনুসরণ করা একটি ধর্মীয় পরিষদও রয়েছে।
জোলানি দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, স্থিতিশীলতা এবং জনসেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এইচটিএস সুশাসন করতে পারে। তবে সমালোচকরা বলছেন, ইদলিব নিয়ন্ত্রণ করার সময় তার দল প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে কোণঠাসা করেছে এবং ভিন্নমত দমন করেছে।
এইচটিএসের নেতৃত্বে ২৭ নভেম্বর চালানো আক্রমণের আগে ইদলিবে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানকার কট্টর ইসলামপন্থি ও সিরিয়ান অ্যাক্টিভিস্টরা এইচটিএসের স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল।
এইচটিএস মূলত দমনপীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতাকে সুসংহত করেছে। যদিও পরে ইদলিবের সব বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সেবা দিয়ে ক্ষমতা একত্রিত করেছে। তবে তাদের শাসনেও কঠোর দমনপীড়ন ও রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসব সমালোচনার জবাবে এইচটিএস কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে- যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা একটি বিতর্কিত নিরাপত্তা বাহিনীকে ভেঙে দিয়েছে এবং নাগরিকদের অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য একটি বিভাগ তৈরি করেছে।
তবে সমালোচকদের মতে, এই সংস্কারগুলো আসলে ভিন্নমত দমনে নিছক এক মুখোশ মাত্র। এইচটিএসের দাবি, সিরিয়ার অগ্রগতি এবং আসাদ সরকারের শাসনকে চূড়ান্তভাবে অপসারণের জন্য ইদলিবে ক্ষমতা সুসংহত করার প্রয়োজন ছিল। তবে দাহেরের মতে, এইচটিএস এই মুহূর্তে একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছুটা আশার আলো আছে যে এইচটিএস দামেস্ক পর্যন্ত তার বিস্তৃত শক্তি সম্প্রসারিত করলেও এই সব অঞ্চল পরিচালনা করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত সামরিক ও মানবসম্পদ নেই।
সর্বাত্মক গৃহযুদ্ধ
তবে এসব পরিস্থিতির বিপরীতে গিয়ে সবচেয়ে খারাপ যেটা হতে পারে, সেটা হলো আরব বসন্তের পর অন্য দেশগুলোর মতোই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া। কোনো বিকল্প ছাড়াই লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফি এবং ইরাকে সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর বিদেশি হস্তক্ষেপ দুটি দেশেই বিপর্যস্ত পরিস্থিতির কারণ হয়েছিল।
সমালোচকদের মতে, স্বৈরাচারী শাসকদের পতনের ফলে তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণ হয়েছিল লুটপাট, প্রতিশোধ, ক্ষমতার দখল এবং গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে। এমন প্রেক্ষাপটে সিরিয়ার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা দেশটিকে ব্যাপক সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে; যা কেবল সিরিয়া নয়, পুরো অঞ্চলকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
বিবিসি আরবির বিশেষ সংবাদদাতা ফেরাস কিলানি সেখান থেকে জানিয়েছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বাশিরের প্রথম ভাষণ অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং নতুন সরকারের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনার ইঙ্গিত দিয়েছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী যে দুইটি পতাকা পেছনে রেখে ভাষণ দিয়েছেন তার একটি ছিল ‘বিপ্লবের পতাকা’ এবং আরেকটি দেখতে তালেবানের পতাকার মতো- যা অনেককে হতবাক করেছে। এটি নির্দেশ করে যে নতুন সরকার তালেবান মডেল অনুসরণ করে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত একটি ইসলামি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, এটি দেশটির সংখ্যালঘু এবং বেসামরিক গোষ্ঠীগুলোর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ এবং প্রশ্ন তৈরি করছে। এ ধরনের একটি গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটি আরও বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে, যা জাতীয় সংহতি এবং শৃঙ্খলাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে।
বিদেশি শক্তির ভারসাম্য
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই তিনটি সম্ভাব্য পরিণতি বিদেশি শক্তির কার্যক্রমের ওপরও নির্ভর করবে। আসাদ দীর্ঘ সময় ধরে ইরান এবং রাশিয়ার সমর্থনের ওপর নির্ভর করেছেন। অন্যদিকে তুরস্ক, পশ্চিমা দেশ আর উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছে।
শেষ কয়েক দিন ধরে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে এবং সিরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলের বাইরে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের কার্যক্রমের কথা স্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের দাবি, তারা আসাদের দেশত্যাগের পর থেকে সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে এবং সিরিয়ার বেশিরভাগ কৌশলগত অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে না দেওয়ার বিষয়ে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীকে সতর্ক করেছেন।
এর মাধ্যমে ইসরায়েল আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলো।
ফিলিপস সতর্ক করেছেন যে, ইসরায়েলের এ ধরনের কার্যকলাপ সিরিয়ার সরকারকে দুর্বল করে বা কঠোরপন্থিদের সাহস জুগিয়ে সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করতে পারে। ফিলিপস এবং দাহের উভয়ই এবিষয়ে একমত যে সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত যাতে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয় এবং বিদেশি শক্তিগুলো সহজে মানবিক সহায়তা দিতে পারে।
- আরও পড়ুন:
- শিগগির আকাশসীমা চালু করবে সিরিয়া
- সিরিয়ায় ইতিহাসের বৃহত্তম হামলা ইসরায়েলের, ধ্বংস নৌবহর
- সিরিয়ায় আসাদের পতনে যেভাবে লাভবান হচ্ছে ইসরায়েল
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন যেহেতু আসাদ সরকারের শাসন আর নেই তাই সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত। আমি মনে করি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং মানবিক সহায়তার মাত্রা ধরে রাখা, সম্ভব হলে তা আরও বাড়ানো।
টিটিএন
টাইমলাইন
- ০৫:৫৮ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ স্কুলে ফিরছে সিরিয়ার শিশুরা
- ০৪:৪৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কোন পথে সিরিয়া?
- ০৪:২০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার নতুন প্রশাসন চাইলে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত তুরস্ক
- ০১:৪৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ শিগগির আকাশসীমা চালু করবে সিরিয়া
- ০৭:৩৪ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার কোন অংশ কাদের নিয়ন্ত্রণে?
- ০৪:৪২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার অর্থনৈতিক সংকট ও করণীয়
- ০৩:৪৫ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় ভবিষৎ ভূমিকা নিয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা
- ০৯:০২ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিরত থাকতে বললো রাশিয়া
- ০৭:১২ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ বাশার আল-আসাদের বাবার সমাধিতে আগুন
- ০৫:৩৫ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় শিগগির দূতাবাস পুনরায় চালু করবে কাতার
- ০৪:২৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ তুরস্ক-লেবানন থেকে ফিরতে শুরু করেছে সিরিয়ার শরণার্থীরা
- ০৪:২১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরার আহ্বান নতুন প্রধানমন্ত্রীর
- ০৩:৫৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় যা ঘটছে তা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের ষড়যন্ত্র: খামেনি
- ০৩:৩১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় আসাদের পতনে কীভাবে লাভবান হচ্ছে ইসরায়েল?
- ০৭:৪৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হলেন মোহাম্মাদ আল-বশির
- ০৪:২৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় খাবার-ওষুধ সরবরাহ করছে কাতার
- ০৩:৫৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার ১৮ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
- ০৩:৫৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা করবে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা
- ০৩:১০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা
- ০১:৪১ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ আসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা নেই পুতিনের
- ১০:৫৯ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার বেহাল অর্থনীতি কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
- ০৯:১০ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল
- ০৪:৫৭ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ আসাদের পতন মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দেবে?
- ০১:৩৪ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় আইএসের ৭৫ ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- ০৯:৫৩ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ আসাদের পতনের পরপরই গোলান মালভূমিতে ভূমি দখল করলো ইসরায়েল
- ০৮:৪২ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ বাশার আল-আসাদ এখন মস্কোয়, জানালো রাশিয়া
- ০৯:৩৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার স্বৈরাচার বাশার আল-আসাদ এখন কোথায়?
- ০৮:৩০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ দামেস্কে আসাদের বাসভবন থেকে যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন
- ০৫:৩৬ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ যেভাবে শেষ হলো
- ০৪:৩৯ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলা
- ০৪:০৪ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ আসাদের পতনে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
- ১২:৩৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেনাবাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ
- ১২:১০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলালেন আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী
- ১০:৩৫ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান
- ১০:০৪ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ‘নতুন সিরিয়া’ হবে শান্তিপূর্ণ, প্রতিশোধ নেবে না বিদ্রোহীরা
- ০৯:৪৫ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ দামেস্কে উল্লাস, ‘নতুন যুগের’ ঘোষণা দিলো বিদ্রোহীরা
- ০৮:৫৯ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আল-আসাদ
- ০৮:৩০ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ হামার পর হোমসের পতন, দামেস্কে প্রবেশ করছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা
- ০৭:৩১ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বাবার ভাস্কর্য ভেঙে ফেললো বিদ্রোহীরা
- ০৭:০১ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ যে কোনো সময় আসাদ সরকারের পতন ঘটবে: সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা
- ০১:৪৯ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ পালাননি বাশার, দাবি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের
- ১২:৩৪ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় দামেস্কের খুব কাছে পৌঁছে গেছে বিদ্রোহীরা
- ০৮:৪১ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে দারা ও সোয়েদা শহর, চাপে আসাদ সরকার
- ০৯:০০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়া সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ইসরায়েল
- ০৭:৩২ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে যাচ্ছে একের পর এক বড় শহর
- ১২:২৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর দখলে নেওয়া বিদ্রোহীরা কারা?
- ০৯:৫০ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ আলেপ্পো থেকে পিছু হটলো সিরিয়ার সেনাবাহিনী
- ০৬:০৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় আলেপ্পোর অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে
- ১১:৪৫ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে নিহত ২০০
- ০৬:৩২ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ সিরিয়ায় সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৩২